আত্মসমর্পণের পর দুই ইউপি চেয়ারম্যানসহ আ.লীগের ৮ নেতাকর্মী কারাগারে
কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার দুই ইউপি চেয়ারম্যানসহ আওয়ামী লীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের আট নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। বুধবার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে কুড়িগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ আদালত সন্ত্রাস বিরোধী আইন, ২০০৯ (সংশোধনী ২০১৩)–এ দায়ের করা মামলায় তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
অন্তবর্তীকালীন জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় তারা আদালতে আত্মসমর্পণ করে পুনরায় জামিন আবেদন করলে আদালত তা খারিজ করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) বজলুর রশিদ।
আট আসামি হলেন-থানাহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক মিলন (৪৫), রানীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু (৫২), রানীগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি উদয় শংকর বর্মন (৫৫), প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক বাচ্চু মিয়া (৪৫), রমনা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গওসুল আজম (৩৮), উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সদস্য হাফিজুর রহমান (৩৭), উপজেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক নজরুল ইসলাম চাঁন চৌধুরী (৬০), জাহিদ আনোয়ার পলাশ (৪২)।
মামলার সূত্রে জানা যায়, গত ৭ আগস্ট ২০২৫ তারিখে চিলমারী থানার এক উপ-পরিদর্শক (এসআই) বাদী হয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে সন্ত্রাস বিরোধী আইনে মামলা দায়ের করেন। মামলার ওই আটজন আসামি উচ্চ আদালত থেকে অন্তবর্তীকালীন জামিনে ছিলেন।
বুধবার (১৯ নভেম্বর) তারা জেলা দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে আদালত তা নামঞ্জুর করে আদালতে পাঠানোর আদেশ দেন। আসামিপক্ষে আইনজীবী ছিলেন শাহীনুর ইসলাম ও নাদিরা সুলতানা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) বজলুর রশিদ।




Comments