Image description

পটুয়াখালীর দশমিনায় বাদী না চিনলেও ককটেল বিস্ফোরণ ও চাঁদা দাবির মামলায় আসামি হয়েছেন বিএনপির ৩ নেতাকর্মী। এ ঘটনায় সোমবার সকালে সংবাদ করেছেন ভুক্তভোগী বিএনপির নেতাকর্মীরা। মামলার শিকার ভুক্তভোগী বিএনপি নেতারা হলেন, বিএনপি নেতা মো. মেহেদি হাসান রাসেল, জহিরুল ইসলাম তালুকদার ও মো. সোহাগ মৃধা। 

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিএনপি নেতা মো. মেহেদি হাসান রাসেল বলেন, নভেম্বরের প্রথম দিকে দশমিনা থানায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাসহ ৩৭ জনের নামে ককটেল বিস্ফোরনসহ লুটপাট ও চাঁদা দাবির মামলা করা হয়। ওই মামলার বাদী উপজেলার দশমিনা সদর ইউনিয়নের চরহাদি সাংগঠনিক ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি মো. কালু মৃধা। 

বিএনপি নেতা মো. মেহেদি হাসান রাসেল বলেন, চর বাণিজ্য ঠেকাতে ও পূর্ব বিরোধের জের ধরে কথিত বিএনপি নেতারা দলের ভোটের ক্ষতি করতে বাদীর সরলতার সুযোগ নিয়ে মামলাটি করেছেন। এতে বিএনপির তিন জনকে আসামী করা হয়েছে। তিনি তদন্ত করে মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান। 
 
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গত ১লা নভেম্বর কয়েকজন আ.লীগ নেতার নির্দেশে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ নেতারা  তরমুজ চাষকে কেন্দ্র করে ঘটনার দিন উপজেলার দশমিনা সদর ইউনিয়নের চরহাদিতে ভুক্তভোগীদের ঘরবাড়িতে লুটপাট ও ভাঙচুর চালায়। এসময় ভুক্তভোগীদের কাছে দশ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ৮ থেকে ১০টি ককটেল বোমা বিস্ফোরন ঘটনানো হয় এমন দাবি করে বিএনপি নেতা মো. কালু মৃধা একটি মামলা করেন।

এদিকে মামলার বাদী বিএনপি নেতা মো. কালু মৃধা অভিযোগ করেন, চরহাদির সাথে ভোলা জেলার জমি সংক্রান্ত রিরোধ রয়েছে। সে ঘটনায় তিনি প্রবীণ লোক হওয়ায় কথিত কয়েকজন বিএনপি নেতা তাকে মামলার বাদী হতে বলেন। এতে তিনি রাজি হন। 

তিনি জানান, তিনি নিরক্ষর মানুষ। শুধু স্বাক্ষর ছাড়া কোনো কিছু পড়তে পারেননা। আ.লীগের ইন্ধনে কথিত দু’একজন বিএনপি নেতা তার সরলতার সুযোগ নিয়ে ত্যাগী বিএনপি নেতাসহ নিরীহ মানুষকে আসামি করে তার থেকে স্বাক্ষর নেয়। মূলত আগমী সংসদ নির্বাচনে ঝামেলা সৃষ্টি করতে ও বিএনপির ভোটের মাঠের ক্ষতি করতেই এসব করা হয়েছে। তিনি মামলার আসামির অনেককেই চেনেনা। যাদের আসামি করা হয়েছে, তাদের আসামি করার কথা ছিল না। ভোলার লোকজনকে আসামি করার কথা ছিল।