সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বিভিন্ন হাওরে বোরো ধানের রোপণ শুরু হয়েছে। একদিকে হাওরের জমি থেকে নামছে পানি অপরদিকে আবাদ শুরু করছেন হাওর পাড়ের কৃষকরা। এখনো পুরোপুরি রোপণ শুরু না হলেও কৃষকরা হাওরে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
শীতের সকালেও কৃষকদের দেখা যাচ্ছে জমিতে কাজ করতে। কেউ জমিতে পানি ধরছেন, আবার কেউ কেউ চাষাবাদ করছেন। শিশু-মহিলারা ধানের হালি চারা আঁটি বাঁধায় ব্যস্ত রয়েছেন। অনেকই আবার জমিতে চারা রোপণ করছেন। হাওরে ধান চাষাবাদে ব্যস্ত থাকায় স্থানীয় বাজারগুলোতে দিনের বেলা লোকজনের উপস্থিতি কমে গেছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানায়, উপজলার শনি, মাটিয়ান, মহালিয়া, আঙ্গারুলি, সহ ২৩টি ছোট- বড় হাওরের সরকারি হিসাব মতে ১৮ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষাবাদ করা হয়েছে। বেসরকারি হিসাব মতে ২৫ হাজার হেক্টর এরমধ্যে উচ ফলনশীল বিভিন্ন জাতের ধান বেশি। সরেজমিনে দেখা যায়, কৃষকরা জমি চারা রোপণের কাজ করছেন।
ভাটি তাহিরপুর গ্রামের কৃষক ইউনুছ আলী জানান, চলতি বছর তিনি ৩০ বিঘা জমিতে বিভিন্ন জাতের উচ্চ ফলনশীল বোরো ধান রোপণ করবেন। তিনি আশা করছেন কমপক্ষে ৬শ’ মণ বোরো ধান ফলাবেন।
গোবিন্দ শ্রী গ্রামের কৃষক সেলিম আখন্জি বলেন, গত বছর শ্রমিক মুজুরি ছিল ৫০০ থেকে সাড়ে ৫৫০ টাকা। এবার তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা। সেই সঙ্গে সেচ খরচ, সার, বীজ, কীটনাশক তো রয়েছেই।
তাহিরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শরিফুল ইসলাম জানান, যথা সময়ে বোরো ধান রোপণ শুরু হয়েছে তাহিরপুর উপজেলার সবকটি হাওরে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবারের ফলন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।




Comments