হাদির ওপর হামলাকারী বাউফল ছেড়েছেন ৩৫ বছর আগে, চেনে না গ্রামবাসী
ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর গুলিবর্ষণের ঘটনায় সন্দেহভাজন হামলাকারী হিসেবে ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে রাহুলকে শনাক্ত করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। তদন্তে জানা গেছে, রাহুলের পৈত্রিক নিবাস পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় হলেও বিগত ৩৫ বছর ধরে এলাকার সঙ্গে তাদের কোনো যোগাযোগ নেই। এমনকি গ্রামের অনেকেই তাকে চেনেন না।
শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে ডিএমপি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সন্দেহভাজন হামলাকারীর ছবি প্রকাশ করে তাকে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য পুরস্কার ঘোষণা করে। এরপরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবির সূত্র ধরে রাহুলের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়।
সরেজমিনে জানা যায়, সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে রাহুলের বাড়ি বাউফল উপজেলার কেশবপুর ইউনিয়নের কেশবপুর গ্রামে। তার বাবার নাম হুমায়ুন কবির ওরফে মালেক। অতীতে অস্ত্রের মুখে ১৭ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় রাহুলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল এবং তার বিরুদ্ধে রাজধানীর আদাবর থানায় মামলা রয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রাহুলের বাবা হুমায়ুন কবির ওরফে মালেক প্রায় ৩৫ বছর আগে সপরিবারে ঢাকায় পাড়ি জমান। রাহুলের জন্ম ও বেড়ে ওঠা ঢাকাতেই। ফলে গ্রামের বাড়িতে তিনি কখনোই আসেননি এবং এলাকাবাসী তাকে চেনেন না। গ্রামে তাদের পৈত্রিক যেটুকু সম্পত্তি ছিল, তাও অনেক আগেই বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে।
রাহুলের চাচি মিনারা বেগম বলেন, ‘‘মাসুদের (রাহুল) পরিবার ৩৫ বছর ধরে ঢাকায় থাকে। আমরা তাদের কখনো দেখিনি এবং তাদের সঙ্গে আমাদের কোনো যোগাযোগও নেই।’’
স্থানীয় বাসিন্দা বাচ্চু হাওলাদার বলেন, ‘‘হুমায়ুন কবিরকে আমরা মালেক নামে চিনি। তিনি প্রায় ৩৫ বছর আগে সব জমিজমা বিক্রি করে এলাকা ছেড়ে ঢাকায় চলে গেছেন। বর্তমানে এলাকায় তাদের কোনো ঘরবাড়ি নেই।’’
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বাউফল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘‘প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে রাহুলের পরিবারের কেউ বর্তমানে ওই বাড়িতে বসবাস করেন না। তারা অনেক আগেই সব সম্পত্তি বিক্রি করে এলাকা ছেড়েছেন। এরপরও উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ওই এলাকায় পুলিশের বাড়তি নজরদারি রাখা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে এ বিষয়ে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
এদিকে ডিএমপি জানিয়েছে, ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে রাহুলকে প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করা হয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারে সবার সহযোগিতা কামনা করেছে পুলিশ।




Comments