Image description

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাবেক ছাত্রদল নেতা সাদ্দাম হোসেন হত্যাকাণ্ডের বিচার এবং মামলার প্রধান আসামি ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক (পদ স্থগিত) দেলোয়ার হোসেন দিলীপের ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসীর উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালিত হয়।

বিক্ষোভ মিছিলটি শহরের কান্দিপাড়া এলাকা থেকে শুরু হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে এসে শেষ হয়। পরে সেখানে এক প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে নিহতের মা খোদেজা বেগম ও স্ত্রী ফারজানা আক্তার তৃনা কান্নায় ভেঙে পড়েন। তারা আর্তনাদ করে হত্যাকারী দিলীপের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসি দাবি করেন।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা যুবদলের সভাপতি মো. শামীম মোল্লা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সজিবুর রহমান সজীব, জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক শাহীনুর রহমান শাহীন এবং বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আবুল হাসনাত ভজন প্রমুখ।

বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, ‘গত ২৭ নভেম্বর রাতে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে নিজ দলের কর্মী ও সাবেক ছাত্রদল নেতা সাদ্দাম হোসেনকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে নৃশংসভাবে গুলি ও জবাই করে হত্যা করে সন্ত্রাসী দেলোয়ার হোসেন দিলীপ ও তার অনুসারীরা। এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ড জনমনে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে।’

তারা আরও বলেন, ‘র‌্যাব প্রধান আসামি দিলীপকে গ্রেপ্তার করলেও হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্রটি এখনো উদ্ধার হয়নি। আমরা প্রশাসনের কাছে অস্ত্র উদ্ধার এবং দিলীপকে দল থেকে স্থায়ী বহিষ্কারের দাবি জানাচ্ছি। অন্যথায় কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।’

মামলার তদন্ত ও গ্রেপ্তারের বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘সাদ্দাম হোসেন হত্যা মামলার প্রধান আসামি দিলীপসহ এজাহারনামীয় ৪ জন আসামিকে এ পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দিলীপের বিরুদ্ধে হত্যাসহ ১৯টি মামলা রয়েছে। তাকে ৫ দিনের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পুনরায় কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’

উল্লেখ্য, গত ২৭ নভেম্বর রাতে সাদ্দাম হোসেনকে হত্যার ঘটনায় তার বাবা মোস্তফা কামাল ওরফে মস্তু মিয়া বাদী হয়ে ৭ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ৫-৭ জনকে আসামি করে সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার পর ১ ডিসেম্বর র‍্যাব ঢাকার বাসাবো থেকে প্রধান আসামি দিলীপ ও সহযোগী বাবুলকে গ্রেপ্তার করে।