Image description

আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি ও সঠিক দিকনির্দেশনার ফলে তরমুজ এখন আর কেবল মৌসুমী ফল নয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে অসময়ের (অফ-সিজন) তরমুজ চাষ করে সফলতার অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন কৃষি উদ্যোক্তা রাজিব। তার এই সফলতা স্থানীয় কৃষিতে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করেছে।

জানা যায়, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম লিটনের পরামর্শে রাজিব নবীনগর লঞ্চঘাটের বিপরীতে আহমেদ সিটি গার্ডেন সংলগ্ন প্রায় ২০ শতাংশ জমিতে এই গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষ শুরু করেন। শুরুতে ফলন নিয়ে মনে কিছুটা সংশয় থাকলেও বর্তমানে ক্ষেতজুড়ে তরমুজের সমারোহ দেখে তিনি উচ্ছ্বসিত। মাঠজুড়ে যেমন ভালো ফলন হয়েছে, তেমনি এই তরমুজ খেতেও বেশ সুস্বাদু। স্থানীয় বাজারে ইতোমধ্যেই এই অসময়ের তরমুজ নিয়ে ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে।

পুষ্টিবিদদের মতে, তরমুজ কেবল সুস্বাদু ফলই নয়, পুষ্টিগুণেও অনন্য। এতে প্রায় ৯২ শতাংশ পানি থাকায় এটি শরীরকে পানিশূন্যতা থেকে রক্ষা করে। এছাড়া ভিটামিন এ, সি, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও লাইকোপেন সমৃদ্ধ এই ফল ক্লান্তি দূর করতে, ত্বক ও চোখের স্বাস্থ্য রক্ষায় এবং রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে।

এ বিষয়ে নবীনগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম লিটন বলেন, ‘নবীনগরে এখন অফ-সিজনেও তরমুজ চাষ সম্ভব। রাজিবের মতো উদ্যোক্তারা যদি স্বপ্ন দেখে সাহস নিয়ে চেষ্টা করেন, তবে সফলতা আসবেই। পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ভোক্তাদেরও সচেতন হয়ে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত নিরাপদ ফল গ্রহণে এগিয়ে আসা প্রয়োজন।’

সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, রাজিবের এই উদ্যোগ নবীনগরের কৃষিতে এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। এতে একদিকে যেমন কৃষকদের আয় বাড়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে, অন্যদিকে সারা বছর বিষমুক্ত ও স্বাস্থ্যসম্মত ফলের যোগান নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।