নীলফামারীর সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজের শিক্ষার্থীরা আবারও তাদের মেধার স্বাক্ষর রেখেছে। ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে দেশের বিভিন্ন সরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন এই কলেজের ৪৮ জন কৃতী শিক্ষার্থী। গত বছরও ৫৩ জন বিভিন্ন মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছিলেন। তাদের ধারাবাহিক এই ঈর্ষণীয় সাফল্য কলেজ এবং সৈয়দপুরবাসীর জন্য বয়ে এনেছে এক বিশাল গৌরব।
রোববার ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশের এ তথ্য জানিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। সব শিক্ষার্থীর তথ্য পেলে সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশা কর্তৃপক্ষের। সৈয়দপুর বিজ্ঞান কলেজ থেকে সুযোগ পাওয়া ৪৮ শিক্ষার্থীর মধ্যে ছেলে ১৩ জন ও মেয়ে ৩৫ জন।
এবারের ফলাফলে ঢাকা মেডিকেল কলেজে (ডিএমসি) ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন এ প্রতিষ্ঠানের চারজন শিক্ষার্থী, যার মধ্যে সারিয়াহ সুমাইয়া ৪৪তম স্থান অধিকার করে নজর কেড়েছেন।
কলেজ সূত্রে আরও যায়, শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজে ৫ জন, রংপুর মেডিকেল কলেজে (আরএমসি) ৯ জন, দিনাজপুর মেডিকেল কলেজে ৫ জন, সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজে ৪ জন, কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ ও রাজশাহী মেডিকেল কলেজে ৩জন , সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ডেন্টাল ইউনিটে ২জনসহ সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ, সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ, নোয়াখালী মেডিকেল কলেজ, টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ, নওগাঁ মেডিকেল কলেজ, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ, চাঁদপুর মেডিকেল কলেজ, খুলনা মেডিকেল কলেজ, রংপুর মেডিকেল কলেজ ডেন্টাল ইউনিট ও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ডেন্টাল ইউনিটটে ১ জন করে শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন এ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।
চলতি বছর সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় শুধু বিজ্ঞান বিভাগে ২৯৭ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়ে শতভাগ পাস করেছেন। জিপিএ-৫ ছিল ২৭০ জনের। এরমধ্যে এবার ৪৮ জন শিক্ষার্থী সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন
এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ২০২৫ সালে ৫৩ জন ,২০২৪ সালে ৫৯ জন, ২০২৩ সালে ৪২ জন, ২০২২ সালে ৩৯ জন, ২০২১ সালে ৪০ জন, ২০১৯ সালে ৩৬ জন ও ২০১৮ সালে ৩৮ জন শিক্ষার্থী সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পান।
এছাড়াও কলেজটি থেকে প্রতি বছর উত্তীর্ণ বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী রুয়েট, কুয়েট ও চুয়েটসহ বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় মেধার স্বাক্ষর রাখেন।
সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজের সাফল্যের কারণ হিসেবে অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ বলেন, রাজনৈতিক কোলাহলমুক্ত প্রতিষ্ঠানটি পারিবারিক বলয়ের মতো পরিবেশে পরিচালিত হয়। এখানে শতভাগ মেধার ভিত্তিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়। এখানকার পাঠদান প্রক্রিয়াটি চাপমুক্ত পরিবেশে নিবিড় তদারকি ও সরকারি কারিকুলামের বাইরে অতিরিক্ত পড়াশোনার মাধ্যমে পরিচালিত হয়। এই পদ্ধতি অনুসরণ করার কারণেই প্রতি বছর বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী মেডিকেল কলেজ, বুয়েট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সহ অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পাচ্ছে এবং দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডে শীর্ষ স্থান ধরে রাখছে।
তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, এই আশানুরূপ ফল মূলত শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা, সুশৃঙ্খল পরিবেশ এবং শিক্ষকদের আন্তরিক তদারকির ফসল।




Comments