Image description

টাঙ্গাইলে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের ১৮ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা পুলিশ। মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টা থেকে বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টা পর্যন্ত জেলার ১২টি উপজেলার ১৩টি থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

পুলিশ জানায়, গ্রেফতারকৃতরা সবাই বিভিন্ন মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। তাদের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা, বিস্ফোরক দ্রব্য বহন, চাঁদাবাজি ও নাশকতার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে।

গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন-নাগপুর উপজেলার আমজাদ হোসেন (৫৫), মির্জাপুরের ফেরদৌস আলম পাহাড়ি (৪৫), দেলদুয়ারে ফজলুল হক (৫০), ঘাটাইলে আব্দুল হোসেন (৩২) ও রাসেল (২৩), সখীপুরের ওয়াদুদ রহমান শাহীন (৫১), হাকিম তালুকদার (৫৫), ধনবাড়ীতে হৃদয় আহমেদ(২৮), কালিহাতীতে শামীম (৪৬), ভূঞাপুরে তাহসিন হোসেন আলিফ (২০), কালিহাতীর যমুনা সেতু পূর্ব থানার তপু মন্ডল (২২), মধুপুরের জুয়েল (২৫), বাসাইল উপজেলার রিপন মিয়া (৫০), গোপালপুরের মিনহাজ মিয়া (৫০) এবং টাঙ্গাইল সদর উপজেলার শরিফ হোসেন (২৫), নাসির উদ্দিন (৪৭), সৈয়দ তানিয়া ইসলাম সুইটি (৪৫) ও তারিফুল ইসলাম (৩৭)।

পুলিশ জানায়, গ্রেফতার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার, সংশোধন) আইন-২০১৯, দ্যা পেনাল কোড ১৮৬০ সন্ত্রাস বিরোধী আইন-২০০৯ এবং দ্যা এক্সপ্লোসিভ সাবস্ট্যান্সেস অ্যাক্ট-১৯০৮-এর বিভিন্ন ধারায় একাধিক মামলা রয়েছে। মামলাগুলোতে সংঘবদ্ধ সহিংসতা, হামলা, মারধর, গুরুতর জখম, হত্যাচেষ্টা, ভয়-ভীতি প্রর্দশন, চাঁদাবাজি, বিস্ফোরক দ্রব্য সংক্রান্ত অপরাধসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে।

টাঙ্গাইল পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শামসুল আলম সরকার জানান, জাতীয় সংসদ ও গণভোট অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে গ্রেফতার করা আসামিদের বিরুদ্ধে পরিস্থিতি ঘোলাটে করার পায়তারাসহ সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও তারা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। জেলার সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ও জনগনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জেলা পুলিশ তৎপর রয়েছে।