দাগনভূঞা থানার নবাগত অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ ফয়জুল আজীম নোমান অপরাধ দমনে ‘জিরো টলারেন্স’ ঘোষণা করেছেন। স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় তিনি দৃঢ়তার সাথে বলেন, “থানায় হয় ওসি থাকবে নতুবা অপরাধী থাকবে। এক সাথে এই দুইয়ের অবস্থান হতে পারে না।”
ওসি নোমান জানান, তিনি এ থানায় যোগদানের পর থেকেই অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন। ইতোমধ্যে শীর্ষ ডাকাত, মাদক কারবারিসহ অনেক চিহ্নিত অপরাধীকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় টহল জোরদার এবং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে পুলিশের পেট্রোলিং বৃদ্ধি করা হয়েছে। অপরাধী যে দলের বা যে পরিচয়েরই হোক না কেন, কাউকে বিন্দুমাত্র ছাড় দেওয়া হবে না বলে তিনি সতর্ক করেন।
সামাজিক অপরাধ ও কিশোর গ্যাং প্রসঙ্গে ওসি বলেন, “স্কুল, কলেজ ও মাদরাসার আশেপাশে কিশোর গ্যাং প্রতিরোধে পুলিশ নিয়মিত কাজ করছে। যেখানেই জননিরাপত্তার সমস্যা দেখা দেবে, সেখানেই তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশের উপস্থিতি নিশ্চিত করা হচ্ছে।”
আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে তাঁর পরিকল্পনা তুলে ধরে তিনি বলেন, “সরকারের নির্দেশনা ও পুলিশ সুপারের (এসপি) তত্ত্বাবধানে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দিতে আমরা কাজ করছি। ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে কেন্দ্রে গিয়ে তাঁদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেন, সেই পরিবেশ নিশ্চিত করা হবে। জনগন যাতে ঘরের দরজা খোলা রেখেও শান্তিতে ঘুমাতে পারে, পুলিশ সেই আস্থার পরিবেশ তৈরিতে বদ্ধপরিকর।”
স্থানীয় সচেতন মহলের মতে, ওসি নোমান এ থানায় যোগদানের পর থেকে কোনো বড় ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। বরং দীর্ঘদিনের পলাতক চোর ও ডাকাত গ্রেপ্তারে পুলিশের সক্রিয়তা বেড়েছে। তিনি তাঁর দায়িত্ব পালনকালে উপজেলার সকল স্তরের মানুষের সহযোগিতা কামনা করেছেন।




Comments