কুষ্টিয়ার কুমারখালী সরকারি কলেজের পুকুর থেকে শাহিন হোসেন (৬০) নামে এক বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার (২২ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কুমারখালী ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা পুকুর থেকে তাঁর মরদেহটি উদ্ধার করেন।
নিহত শাহিন কুমারখালী পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত আমজাদ হোসেনের ছেলে।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, শাহিন হোসেন দীর্ঘ দিন ধরে ডায়াবেটিস ও ব্রেইন সংক্রান্ত বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন এবং চোখেও কম দেখতেন। গত রোববার বিকেলে আসরের নামাজ পড়ার উদ্দেশ্যে তিনি কুমারখালী বড় জামে মসজিদে যান। সন্ধ্যা পেরিয়ে গেলেও তিনি বাড়িতে না ফেরায় স্বজনরা বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। একপর্যায়ে রাত ৮টার দিকে কুমারখালী সরকারি কলেজের পুকুরে তাঁর স্যান্ডেল ভাসতে দেখা যায়।
খবর পেয়ে কুমারখালী ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ওই রাতেই উদ্ধার অভিযান শুরু করে। তবে রাত ১০টা পর্যন্ত চেষ্টা চালিয়েও তাঁর কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। পরদিন সোমবার সকাল ৮টা থেকে পুনরায় উদ্ধার অভিযান শুরু করে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পুকুর থেকে শাহিনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এরপর তাঁকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের স্ত্রী সাহিদা বেগম জানান, তাঁর স্বামী নিয়মিত নামাজ পড়তেন এবং তাবলীগ জামায়াতের সাথে যুক্ত ছিলেন। শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকায় এবং চোখে কম দেখার কারণে হয়তো অসাবধানতাবশত পুকুরে পড়ে গিয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে কারো বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই।
কুমারখালী ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কর্মকর্তা ইন্দ্র প্রসাদ বিশ্বাস জানান, পুকুরে স্যান্ডেল ভাসার সূত্র ধরে দীর্ঘ তল্লাশি চালিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জামাল উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, "মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হয়েছে। স্বজনদের কোনো অভিযোগ না থাকায় এবং তাঁদের আবেদনের প্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পানিতে ডুবেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে।"




Comments