সিরাজগঞ্জ-কাজিপুর রোডের বাগবাটি ইউনিয়নের ঘোড়াচড়া-ফুলকোচা সংযোগ সড়কটির বেহাল দশায় চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন দুই গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ। প্রায় দেড় কিলোমিটার দীর্ঘ এই কাঁচা সড়কটি সংস্কারের অভাবে বর্তমানে চলাচলের সম্পূর্ণ অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, বাগবাটি ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ঘোড়াচড়া গ্রাম থেকে ফুলকোচা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত সংযোগ সড়কটি যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম। কিন্তু বর্তমানে রাস্তাটি এতটাই কর্দমাক্ত ও ভাঙাচোরা যে, সামান্য বৃষ্টি হলেই সেখানে হাঁটাচলা করা দায় হয়ে পড়ে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন অন্তত ৪০০ জন কৃষক তাদের উৎপাদিত পণ্য নিয়ে বাজারে যান। সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হওয়ায় কৃষিপণ্য পরিবহনে অতিরিক্ত খরচ ও সময় ব্যয় হচ্ছে, যা কৃষকদের আর্থিক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া প্রতিদিন স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকুরিজীবী ও শিক্ষকরা এই রাস্তা ব্যবহার করে যাতায়াত করেন। অসুস্থ রোগীদের হাসপাতালে নেওয়ার ক্ষেত্রেও পোহাতে হয় অসহনীয় দুর্ভোগ।
ঘোড়াচড়া গ্রামের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুল মমিন বলেন, “৫ আগস্টের পটপরিবর্তনের পর আমি ব্যক্তিগত উদ্যোগে রাস্তাটি চলাচলের উপযোগী করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু টানা বৃষ্টির কারণে মাটির রাস্তাটি আবারও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর স্থায়ী সমাধান জরুরি।”
একজন ভ্যানচালক আক্ষেপ করে বলেন, “রাস্তা খারাপ হওয়ায় আমরা সময়মতো রোগী নিয়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারি না। বর্ষাকালে তো এই রাস্তা দিয়ে ভ্যান চালানোই অসম্ভব হয়ে যায়।”
বাগবাটি ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সভাপতি মো. শফিকুল ইসলাম লালচান জানান, ঘোড়াচড়া গ্রামে বেশিরভাগ মানুষই বাসশ্রমিক, ভ্যানশ্রমিক ও দিনমজুর। নিম্ন আয়ের এই মানুষগুলোর জীবনমান উন্নয়নে সরকার যদি দ্রুত এই মাটির রাস্তাটি পাকাকরণের উদ্যোগ নেয়, তবে গোটা এলাকা উপকৃত হবে।
এলাকাবাসীর দাবি, দ্রুত এই গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ সড়কটি সংস্কার ও পাকাকরণের দাবি জানিয়েছেন তারা।




Comments