রাজবাড়ীর পাংশায় চাঁদাবাজি করতে গিয়ে এলাকাবাসীর গণপিটুনিতে কুখ্যাত ‘সম্রাট বাহিনী’র প্রধান অমৃত মন্ডল ওরফে সম্রাট নিহত হয়েছেন। বুধবার রাত পৌনে ১১টার দিকে উপজেলার কলিমহর ইউনিয়নের হোসেনডাঙ্গা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। এ সময় সম্রাটের এক সহযোগীকে দুটি অস্ত্রসহ আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয় জনতা।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নিহত সম্রাট হোসেনডাঙ্গা গ্রামের অক্ষয় মন্ডলের ছেলে। তিনি এলাকায় নিজস্ব একটি সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে তুলে দীর্ঘদিন ধরে চাঁদাবাজি ও ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিলেন। গ্রেপ্তার এড়াতে দীর্ঘ সময় ভারতে পালিয়ে থাকার পর সম্প্রতি তিনি এলাকায় ফিরে পুনরায় অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড শুরু করেন।

বুধবার রাতে সম্রাট তার সহযোগীদের নিয়ে ওই এলাকার একটি বাড়িতে দাবিকৃত চাঁদার টাকা নিতে যান। বাড়ির মালিক টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে ‘ডাকাত ডাকাত’ বলে চিৎকার শুরু করলে গ্রামবাসীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে তাদের ঘিরে ফেলে। এ সময় গণপিটুনিতে ঘটনাস্থলেই সম্রাটের মৃত্যু হয়। সম্রাটের অন্য সহযোগীরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও সেলিম নামে একজনকে দুটি আগ্নেয়াস্ত্রসহ আটক করে পুলিশে দেয় জনতা।

পাংশা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মঈনুল ইসলাম জানান, নিহত সম্রাটের বিরুদ্ধে হত্যা ও চাঁদাবাজিসহ একাধিক মামলা রয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানোর ব্যবস্থা নিয়েছে। এছাড়া আটক সেলিমের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।

এই ঘটনার পর এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়দের দাবি, সম্রাটের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়েই জনতা এমন প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে। বর্তমানে ওই এলাকায় পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে।