Image description

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে ১৪ বছর বয়সী এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) এ ঘটনা ঘটলেও এখন পর্যন্ত প্রধান আসামী গ্রেপ্তার না হওয়ায় চরম উদ্বেগ ও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে ভুক্তভোগী শিশুটির পরিবার। বর্তমানে ওই শিক্ষার্থী রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

ঘটনার বিষয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর মা জানান, তার মেয়ে নানাবাড়িতে থেকে স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় পড়াশোনা করে। গত বৃহস্পতিবার মাদ্রাসা থেকে ফেরার পর নানার কথা অনুযায়ী একটি মৃত মুরগি দূরে ফেলে দিয়ে এসে সে নিজ ঘরে ঘুমিয়ে পড়ে। এ সময় সুযোগ বুঝে প্রতিবেশী সাদ্দাম (৩০) ঘরে ঢুকে শিক্ষার্থীর মুখ চেপে ধরে এবং মাফলার দিয়ে হাত বেঁধে তাকে ধর্ষণ করে। সাদ্দাম ওই এলাকার মোজাইয়ের ছেলে।

শিক্ষার্থীর মা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, "সাদ্দাম লোকটা এলাকায় খুব খারাপ হিসেবে পরিচিত। সে মাঝেমধ্যে কসাইয়ের কাজ করে আবার কখনও অটো চালায়। আমার মেয়েটির দিকে আমি তাকাতে পারছি না। থানায় অভিযোগ করার পর পুলিশ একবার বাড়িতে এসেছিল, কিন্তু আসামীকে না পেয়ে ফিরে গেছে। অথচ আমরা শুনতে পাচ্ছি আসামী এলাকায় বা আশপাশেই ঘুরছে। আমি আমার মেয়ের ওপর হওয়া এই অমানবিকতার কঠিন বিচার চাই।"

এদিকে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর পরিবার অভিযোগ করেছে যে, আসামী সাদ্দাম প্রভাবশালী বা ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকায় পুলিশ তাকে গ্রেপ্তারে গড়িমসি করছে। তবে পুলিশ এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

এ বিষয়ে গোয়ালন্দ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মমিনুল ইসলাম বলেন, "থানায় লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর থেকেই আমরা আসামীকে গ্রেপ্তারের জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। ছেলেটির বাড়িতে অভিযান চালানো হয়েছে, তবে সে ঘটনার পর থেকেই পলাতক রয়েছে। তার সম্ভাব্য অবস্থানগুলোতে আমাদের নজরদারি রয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে তাকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।"