Image description

বগুড়ার শেরপুরে শীতের তীব্রতা বাড়ার সাথে সাথে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। ঘন কুয়াশা, হাড়কাঁপানো শীত আর হিমেল হাওয়ায় সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। একইসঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শীতজনিত রোগের প্রকোপ। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতিদিন ভিড় করছেন নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত শত শত রোগী।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েকদিন ধরে এ অঞ্চলে সূর্যের দেখা মিলছে না বললেই চলে। খামারকান্দি ইউনিয়নের ঝাজর গ্রামের অটোরিকশা চালক বাবলু মিয়া বলেন, “ভোর থেকে কুয়াশায় রাস্তাঘাট ঢাকা থাকে। অতিরিক্ত ঠান্ডায় গাড়ি নিয়ে বের হওয়া যাচ্ছে না। আয়-রোজগার বন্ধ হওয়ার উপক্রম।” কুসুম্বী ইউনিয়নের দিনমজুর আয়াজ আলী জানান, তীব্র ঠান্ডায় শরীর না চললেও পেটের দায়ে কাজের সন্ধানে বের হতে হচ্ছে তাকে।

এদিকে শীতের প্রকোপে বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধরা নিউমোনিয়া, সর্দি-কাশি, শ্বাসকষ্ট ও ডায়রিয়ায় বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তথ্যমতে, বর্তমানে প্রতিদিন বহির্বিভাগে ৬৫০ থেকে ১১০০ রোগী চিকিৎসা নিতে আসছেন, যাদের অধিকাংশই শীতজনিত সমস্যায় ভুগছেন। ছাতিয়ানী গ্রামের মোছা. সুমি খাতুন জানান, তার পাঁচ বছরের ছেলে শাফি শ্বাসকষ্টে ভুগলে তাকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সাজিদ হাসান সিদ্দিকী বলেন, “শীতকালে শিশু ও বয়স্করা সবচেয়ে বেশি স্বাস্থ্যঝুঁকিতে থাকেন। হাসপাতালে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। আমরা সার্বক্ষণিক অক্সিজেন সিলিন্ডারসহ প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জাম প্রস্তুত রেখেছি। সবাইকে গরম কাপড় ব্যবহার ও ঠান্ডা এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছি।”

শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এম আবদুল্লাহ ইবনে মাসুদ আহমেদ জানান, শীত মোকাবিলায় সরকারিভাবে প্রতিটি ইউনিয়নে প্রাথমিকভাবে ১৫০টি করে কম্বল বিতরণ শুরু হয়েছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় বিতরণের পরিমাণ আরও বাড়ানো হবে।

মানবকণ্ঠ/ডিআর