
অভিযুক্ত নাসির উদ্দিন মাসুদ | অভিযুক্ত নাসির উদ্দিন মাসুদ
গাজীপুরের শ্রীপুরে নাটকে অভিনয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক অভিনয় শিল্পীকে রিসোর্টে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে নাট্যনির্মাতা নাসির উদ্দিন মাসুদ ও তার সহযোগীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) শ্রীপুর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী বলেন, ‘চার-পাঁচ মাস আগে পূবাইলে শুটিংয়ের সময় পরিচালক নাসির উদ্দিন মাসুদ আমার মোবাইল নম্বর নেন। এরপর থেকে তিনি নিয়মিত কল দিতেন। একসঙ্গে দু-একটি নাটকের শুটিংও করি। হঠাৎ ঘটনার দিন রাতে শুটিংয়ের কথা বলে তিনি বাসা থেকে আমাকে নিয়ে যান। গভীর রাতে গাজীপুরের রাস্ রিসোর্টে নিয়ে গিয়ে মাদক সেবনের পর পরিচালক মাসুদ ও তার সহকারী বাবর আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন।’
তিনি আরো বলেন, ‘পরিচালক ও তার সহযোগী পালাক্রমে ধর্ষণের পর বয়স্ক এক ব্যক্তি, যাকে রিসোর্ট মালিক পক্ষের লোক হিসেবে পরিচয় দেওয়া হয়। সেও আমাকে ধর্ষণ করে। এরপর ভয়ভীতি দেখিয়ে বাবর আমার ব্যবহৃত (আইফোন ১৬ প্রো ম্যাক্স) ছিনিয়ে নেয় এবং পরে আমাকে রিসোর্ট থেকে বের করে দেন।’
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত নাসির উদ্দিন মাসুদকে একাধিকবার ফোন দিলেও সাড়া পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় বাসিন্দা তুহিন আহমেদ নুকু মানবকণ্ঠকে বলেন, ‘রাস্ রিসোর্টের বিরুদ্ধে বহুদিন ধরেই অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ রয়েছে। আমরা দেখেছি এখানে প্রায়ই তরুণ-তরুণীরা রুম ভাড়া নেয়। দিনের বেলাতেও ডে-লং প্যাকেজে অনৈতিক কাজ হয়। অথচ কর্তৃপক্ষ সবসময় অস্বীকার করে।’
ঘটনার পর রাস্ রিসোর্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে ওয়েবসাইটে দেওয়া দুটি নম্বরে কথা হয়। ফোন রিসিভ করেন রায়হান ও সাইফ নামের দুইজন। তারা নিজেদেরকে ‘থার্ড পার্টি’ দাবি করে গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা শুধু বুকিং দেই। এই ধরনের ঘটনার বিষয়ে কিছু জানি না।’
তাদের কাছে রিসোর্ট কর্তৃপক্ষের নম্বর চাওয়া হলে তারা বলেন, ‘স্যরি, আমরা দিতে পারব না।’
শ্রীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ আব্দুল বারিক বলেন, ‘এ ধরনের অভিযোগ অত্যন্ত সংবেদনশীল এবং গুরুতর অপরাধের শামিল। ভুক্তভোগীর অভিযোগ পাওয়ার পর আমরা আইনগত প্রক্রিয়া শুরু করেছি। ইতোমধ্যে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্তদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’
Comments