
দীর্ঘদিন ধরে অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জর্জরিত পাঁচটি শরিয়াভিত্তিক ব্যাংককে একীভূত করার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এই পাঁচটি ব্যাংককে পরিচালনা করতে একটি পাঁচ সদস্যের প্রশাসক টিম গঠন করা হবে।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক বিশেষ বোর্ড সভা শেষে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র মো. আরিফ হোসেন খান এই তথ্য জানান। তিনি বলেন, সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোর বোর্ড সভায় একীভূতকরণের বিষয়ে সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রণীত ‘ব্যাংক রেজল্যুশন অধ্যাদেশ’ অনুযায়ী এই পুরো প্রক্রিয়া পরিচালিত হবে।
আরিফ হোসেন খান জানান, এই একীভূতকরণ একটি দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া, যা সম্পন্ন হতে প্রায় দুই বছর সময় লাগতে পারে। তবে কার্যক্রম শুরুর প্রস্তুতি প্রায় চূড়ান্ত এবং শিগগিরই এটি দৃশ্যমান হবে।
একীভূতকরণ প্রক্রিয়া পরিচালনার জন্য পাঁচ সদস্যের একটি প্রশাসক টিম গঠন করা হলেও, ব্যাংকগুলোর দৈনন্দিন কার্যক্রম পরিচালনা করবে বর্তমান ব্যবস্থাপনা টিম। প্রতিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তাদের পদে বহাল থাকবেন। ব্যাংকগুলোর বর্তমান পর্ষদ (বোর্ড) বাতিল করা হবে না, তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তারা ধীরে ধীরে নিষ্ক্রিয় হয়ে যাবে।
সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক ও এক্সিম ব্যাংককে একীভূত করে একটি নতুন রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংক গঠন করা হবে, যার সম্ভাব্য নাম ‘ইউনাইটেড ইসলামী ব্যাংক’।
এই পাঁচ ব্যাংকের ৪৮ থেকে ৯৮ শতাংশ পর্যন্ত ঋণ এখন খেলাপি। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী, একীভূতকরণ প্রক্রিয়ার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থের পরিমাণ ৩৫ হাজার ২০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারই দেবে ২০ হাজার ২০০ কোটি টাকা। জানা গেছে, এক্সিম ব্যাংক ছাড়া বাকি চারটি ব্যাংকই দীর্ঘদিন ধরে এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণে ছিল।
Comments