মধ্যপ্রাচ্যে ঝাঁকে ঝাঁকে আসছে মার্কিন যুদ্ধবিমান, ইরানে হামলার প্রস্তুতি!
মাওলানা মোনায়েম হোসাইন | ছবি : সংগৃহীত
মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অস্বাভাবিক পরিমাণে যুদ্ধবিমান মোতায়েন নতুন করে সামরিক উত্তেজনার আশঙ্কা তৈরি করেছে।
ফ্লাইট রাডারের গতিচিত্রে দেখা গেছে, ইউরোপের মার্কিন ঘাঁটিগুলো থেকে কে সি-১৩৫ ও কে সি-৪৬ জ্বালানি ট্যাঙ্কারগুলো যুদ্ধবিমানগুলোকে জ্বালানি সরবরাহ করে মধ্যপ্রাচ্যে নিয়ে যাচ্ছে। একসাথে এতগুলো জেট পাঠানো হচ্ছে যে, জ্বালানি ভরার বিমানগুলো পুরো পথে সঙ্গ না দিয়ে যুদ্ধবিমানগুলোকে অর্ধেক পথ পর্যন্ত নিয়ে গিয়ে জ্বালানি ভরে ছেড়ে দিচ্ছে। এরপর যুদ্ধবিমানগুলো একা গন্তব্যে চলে যাচ্ছে। ট্যাঙ্কারগুলো আবার ফিরে গিয়ে নতুন যুদ্ধবিমানের জন্য জ্বালানি ভরে পাঠাচ্ছে। এর আগে এ ধরনের সেনা মোতায়েনের পরই আমেরিকা ইরানের ওপর বিমান হামলা চালিয়েছিল।
মধ্যপ্রাচ্যে কাতারের মার্কিন ঘাঁটিতে ইতোমধ্যে এক ডজন মার্কিন ট্যাঙ্কার বিমান পৌঁছে গেলেও, যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন ঘাঁটিতে আরও এক ডজনেরও বেশি বিমান প্রস্তুত হয়ে আছে।
অন্যদিকে, ফ্লাইট রাডারের আরেকটি রেকর্ডে দেখা গেছে, ইরান থেকে একটি ফ্লাইটে করে দেশটির কিছু সরকারি প্রতিনিধি দল বেলারুশে গিয়েছে। এর মূল কারণ এখনো জানা যায়নি।
ইরানের পরমাণু ইস্যুকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে বর্তমানে সংলাপ বন্ধ রয়েছে, কারণ ইরান যুক্তরাষ্ট্রের কোনো শর্তে রাজি হয়নি। এরই মধ্যে রাশিয়া ও ইরান ২৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের কয়েকটি পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ চুক্তির সমঝোতা স্বাক্ষর করেছে।
দুই দিন আগে ডোনাল্ড ট্রাম্প তার ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে রাশিয়াকে ‘পেপার টাইগার’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন এবং রাশিয়ার জনগণকে যুদ্ধের ক্ষতি নিয়ে সতর্ক করেন, যা নজিরবিহীন। এর আগে ট্রাম্পকে সবসময় পুতিনের সঙ্গে সুর মিলিয়ে বরং ইউক্রেনকে দোষারোপ করতে দেখা গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, ইরানে হামলার বিষয়ে পুতিনের সায় না পাওয়ায় ট্রাম্প পুতিনের ওপর ক্ষিপ্ত হয়েছেন। এদিকে নজিরবিহীনভাবে ট্রাম্পের ডিফেন্স অ্যাডভাইজার সামরিক বাহিনীর সকল জেনারেলদের ভার্জিনিয়াতে ডেকে বৈঠক করেছেন, যা নতুন যুদ্ধের ইঙ্গিত দেয়।
পরমাণু বিষয়ে ইরানের ওপর জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের জন্য ইরানে হামলার বৈধ অজুহাত তৈরি করেছে। এবার হামলা হলে হয়তো ইরান থেকে ইসলামি প্রজাতন্ত্রের পতন এবং সকল পরমাণু স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল আঘাত হানতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
Comments