ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলায় অবস্থিত বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে স্থানীয় একটি যুব সংগঠন। শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে ত্রিপুরার আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল ‘তিপরা মোথা’র যুব শাখা ‘ইউথ তিপরা ফেডারেশন’ এই বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করে।
বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশন এলাকায় কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ঘটনাস্থলে সশরীরে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিম ত্রিপুরার পুলিশ সুপার (এসপি) নমিত পাঠক। শুধু ত্রিপুরা নয়, বাংলাদেশে চলমান পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতায় অবস্থিত বাংলাদেশ উপদূতাবাসের সামনেও নিরাপত্তা বৃদ্ধি ‘দৃশ্যমান’ করা হয়েছে বলে উপদূতাবাসের সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে।
বিক্ষোভ চলাকালীন তিপরা মোথার যুব সংগঠনের নেতারা বলেন, ‘সম্প্রতি বাংলাদেশের ন্যাশনাল সিটিজেনস পার্টির (এনসিপি) নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহসহ আরও কয়েকজন ছোট-বড় নেতা উত্তর-পূর্ব ভারতকে ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন করার যে হুমকি দিয়েছেন, তা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ও উসকানিমূলক।’
তারা আরও দাবি করেন, এ ধরনের দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্য শুধু ভারত-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের জন্যই ক্ষতিকর নয়, বরং গোটা অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতার ক্ষেত্রেও বড় হুমকিস্বরূপ।
উল্লেখ্য, গত বছর ২ ডিসেম্বর এই সহকারী হাইকমিশন দপ্তরে একটি সংগঠনের সদস্যরা নজিরবিহীন হামলা চালায়। সেই ঘটনার পর নিরাপত্তার স্বার্থে সেখানকার ভিসা কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। তৎকালীন সহকারী হাইকমিশনার আরিফ মহম্মদকেও ওই সময় ঢাকায় ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। দীর্ঘ সময় পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার চেষ্টার মধ্যেই নতুন করে এই বিক্ষোভ ও নিরাপত্তা উদ্বেগের বিষয়টি সামনে এলো।




Comments