পেমেন্ট সার্ভিস প্রোভাইডার (পিএসপি) হিসেবে নিজস্ব ডিজিটাল পেমেন্ট সেবা চালুর অনুমতি পেয়েছে মোবাইল অপারেটর বাংলালিংক। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এ সংক্রান্ত অনাপত্তিপত্র (এনওসি) পায় প্রতিষ্ঠানটি। মিডিয়াকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলালিংক।
বাংলালিংক জানায়, অত্যাধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারের মাধ্যমে এবং গ্রাহকদের প্রতিদিনের ১৪৪০ মিনিট কাজে লাগানোর ক্ষেত্রে ডিজিটাল সেবা কৌশল ‘ডি.ও. ১৪৪০’ অনুযায়ী বাংলালিংক প্রয়োজনীয় আর্থিক ও ডিজিটাল সেবা সরাসরি মানুষের হাতে পৌঁছে দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
বৈশ্বিক ডিজিটাল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান এবং বাংলালিংকের মূল প্রতিষ্ঠান ভিওন এই অনুমোদনকে দেশের ডিজিটাল আর্থিক অন্তর্ভুক্তি বৃদ্ধি এবং নগদ অর্থবিহীন অর্থনীতির ভিত্তি শক্তিশালী করার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচনা করছে। ভিওনের আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রযুক্তি সক্ষমতা এ অগ্রগতি আরও সুদৃঢ় করেছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
বাংলালিংক আরো জানায়, এ অনুমোদনের ফলে দেশের বিপুল সংখ্যক গ্রাহক আরও নিরাপদে, দ্রুতগতিতে ও সহজে নিজেদের মোবাইল ডিভাইস থেকে বিভিন্ন ডিজিটাল আর্থিক সেবা ব্যবহার করতে পারবেন। একইসাথে, এ অনুমোদন দেশজুড়ে পরবর্তী প্রজন্মের ডিজিটাল পেমেন্ট সেবা চালুর পথও উন্মুক্ত করবে।
ডিজিটাল পেমেন্টের মাধ্যমে গ্রাহকেরা তাৎক্ষণিকভাবে অর্থ পাঠানো, রেমিটেন্স সেবা, বিদ্যুৎ ও সরকারি বিল পরিশোধ, অনলাইন ক্রয়-বিক্রয় ও দোকানদারকে অর্থ পরিশোধ এবং বেতন ও ভাতা বিতরণসহ সঞ্চয় ও বিমা কিস্তি পরিশোধের মতো বিভিন্ন আর্থিক সুবিধা উপভোগ করবেন।
এ সেবার অন্যতম লক্ষ্য হলো ব্যাংকিং ও আর্থিক সেবার বাইরে থাকা জনগোষ্ঠীসহ সবার জন্য আনুষ্ঠানিক আর্থিক ব্যবস্থার আওতায় নিয়ে আসা। শক্তিশালী নিরাপত্তা কাঠামোতে নির্মিত এই প্ল্যাটফর্ম গ্রাহকদের জন্য নিরাপদ, নির্ভরযোগ্য এবং নির্বিঘ্ন লেনদেন নিশ্চিত করবে এবং দীর্ঘমেয়াদে গ্রাহকদের আস্থা তৈরিতে ভূমিকা রাখবে।
বাংলালিংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইওহান বুসে বলেন, “দেশজুড়ে বাংলালিংকের সেবার বিস্তৃতি এবং ভিওনের আন্তর্জাতিক সক্ষমতা মিলিয়ে আমরা বাংলাদেশের জন্য একটি নিরাপদ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবস্থা গড়ে তুলছি। আমরা বিশ্বাস করি, সহজ, নিরাপদ এবং সবার জন্য উন্মুক্ত আর্থিক সেবা মানুষের নাগালের মধ্যেই থাকা উচিত। এ অনুমোদন আমাদের সে বিশ্বাসকে আরও সুদৃঢ় করেছে। প্রতিদিনের ১৪৪০ মিনিটকে মানুষের উন্নয়নের জন্য কাজে লাগানোর লক্ষ্যে আমাদের ‘ডি.ও. ১৪৪০’ কৌশল অনুযায়ী আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। মানুষের প্রয়োজনকে কেন্দ্র করে বাংলালিংক এমন উদ্যোগ অব্যাহত রাখবে যা জীবনকে সহজ করে, সমাজের ক্ষমতায়নে ভূমিকা রাখে এবং বাংলাদেশকে ভবিষ্যত উপযোগী ডিজিটাল অর্থনীতির পথে এগিয়ে নিয়ে যায়।”
বাংলালিংক ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিভিন্ন সহযোগী প্রতিষ্ঠানের সাথে সমন্বয়ের মাধ্যমে ডিজিটাল পেমেন্ট সেবার বাণিজ্যিক উদ্বোধনের প্রস্তুতি নিয়ে কাজ করছে।




Comments