Image description

বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন (ইসি) নির্বাচন পর্যবেক্ষক হিসেবে কাজ করার জন্য ৭৩টি বেসরকারি সংস্থাকে প্রাথমিকভাবে নিবন্ধনযোগ্য হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে। শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) নির্বাচন কমিশন সচিবালয় থেকে এ সংক্রান্ত একটি গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে তালিকা প্রকাশ করা হয়।

গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এই তালিকার বিরুদ্ধে কোনো দাবি, আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে তা আগামী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে, অর্থাৎ ২০ অক্টোবর ২০২৫-এর মধ্যে লিখিতভাবে জানাতে হবে। আপত্তি জানাতে হলে সিনিয়র সচিব, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়, আগারগাঁও, ঢাকা বরাবর ছয় সেট আপত্তিপত্র উপযুক্ত প্রমাণাদিসহ দাখিল করতে হবে। এতে আপত্তিকারীর নাম, ঠিকানা এবং ফোন নম্বর উল্লেখ করতে হবে।

নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, আপত্তির শুনানি শেষে সেগুলো গ্রহণ বা বাতিলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এ বিষয়ে কমিশনের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হিসেবে বিবেচিত হবে।

নিবন্ধন প্রক্রিয়ার পটভূমি

নির্বাচন কমিশনের ২৭ জুলাই ২০২৫ তারিখে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তির আলোকে পর্যবেক্ষক সংস্থা হিসেবে অন্তর্ভুক্তির জন্য আবেদনগুলো যাচাই-বাছাই করা হয়। নীতিমালার ৪.৪ (ক) অনুচ্ছেদ অনুসারে, এই ৭৩টি প্রতিষ্ঠানকে প্রাথমিকভাবে নিবন্ধনের জন্য উপযুক্ত বিবেচনা করা হয়েছে।

কমিশনের গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থা হিসেবে নিবন্ধনের জন্য আবেদনকৃত প্রতিষ্ঠানগুলোর যোগ্যতা যথাযথভাবে পরীক্ষা করে এই তালিকা প্রকাশ করা হলো। কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের এই তালিকার বিরুদ্ধে দাবি বা আপত্তি থাকলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তা জানানোর জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।”

পরবর্তী পদক্ষেপ

নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কোনো আপত্তি জানানো না হলে এই ৭৩টি সংস্থাকে চূড়ান্তভাবে নির্বাচন পর্যবেক্ষক হিসেবে নিবন্ধন দেওয়া হবে। এই সংস্থাগুলো আগামী নির্বাচনে স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

নির্বাচন কমিশনের এই পদক্ষেপ নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলো নির্বাচনের বিভিন্ন ধাপ পর্যালোচনা করে নির্বাচনী প্রক্রিয়ার নিরপেক্ষতা ও গ্রহণযোগ্যতা নিশ্চিত করতে সহায়তা করে।