অপরাধ বা অপরাধে সহায়তার অভিযোগ প্রমাণিত হলে ইসকনসহ যেকোনো সংস্থার ভূমিকা তদন্ত ও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে 'ইন্তিফাদা বাংলাদেশ' নামক একটি সংগঠন। শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের উত্তর গেটে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এই দাবি তুলে ধরা হয়।
সমাবেশে তাদের উত্থাপিত অন্য ৫টি দাবি হলো:
১. গাজীপুর ধর্ষণ ঘটনা: গাজীপুর ধর্ষণের ঘটনায় সংশ্লিষ্ট পুলিশ বিভাগকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে এবং ভিকটিমের প্রতি দোষারোপ বন্ধ করে পুলিশ ও প্রশাসনের আচরণের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে। জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের সম্মুখীন করে দ্রুত বিচার ও কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
২. টঙ্গী এলাকার অপহরণ-হত্যা: টঙ্গী এলাকার অপহরণ-হত্যা বিষয়ে দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্ত চালিয়ে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলকভাবে গ্রেপ্তার ও শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
৩. কাঠামোগত ইসলাম বিদ্বেষ রোধ: রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে ‘কাঠামোগত ইসলাম বিদ্বেষ’ ও ইসলামবিদ্বেষী আচরণ রোধে একটি জাতীয় নীতি ও কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হবে।
৪. মুসলিম নারীর সম্মান ও নিরাপত্তা: মুসলিম নারীর সম্মান ও নিরাপত্তা রক্ষায় সুনির্দিষ্ট নীতিমালা ও রক্ষা ব্যবস্থাসহ আইনি কাঠামো গঠন করতে হবে।
৫. ইসলামবিদ্বেষ-বিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িতদের নিরাপত্তা: ইসলামবিদ্বেষ-বিরোধী কর্মকাণ্ডে অগ্রণী ইমাম, সক্রিয় নাগরিক ও সংগঠনগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
ইন্তিফাদা বাংলাদেশের সদস্য আহমেদ রফিক তার বক্তব্যে বলেন, "মুসলিম নারীকে ধর্ষণের কথা গর্ব করে প্রকাশ করা হয়। খতিব ইসকনের বিরুদ্ধে কথা বলায় তাকে অপহরণ করে শিকলে বেঁধে মেরে ফেলে রাখা হয়। এরকম ঘটনা একের পর এক ঘটেই চলেছে। কিন্তু বিপরীতে আমরা কী দেখতে পাচ্ছি? আমরা বিপরীতে দেখতে পাচ্ছি রাষ্ট্র চুপ করে তামাশা দেখছে। প্রশাসন অপরাধীদের বাঁচানোর জন্য আয়োজন করছে। সুশীল সমাজকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। কেউ দায় নিতে চায় না।"
তিনি আরও বলেন, "পশ্চিমারা কী বলবে, আমেরিকা কী বলবে, বামপন্থী কী বলবে, দূতাবাস থেকে কী নির্দেশনা আসবে—তারা এগুলো নিয়ে চিন্তা করতে করতে আল্লাহ কী বলবেন, আল্লাহ কিভাবে পাকড়াও করবেন, এটা নিয়ে চিন্তা করার সময় তাদের নেই।"
আহমেদ রফিক বলেন, "বারবার এরা আমাদের সম্প্রীতির কথা বলে, আমাদেরকে মন্দির পাহারা দিতে বলে। কিন্তু মুসলিম নারীর ইজ্জত লুণ্ঠনের সময় এদের মুখে কবরের নীরবতা। আমরা স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই এদের এই নীরবতা অবশ্যই অপরাধের অংশ এবং এই নীরবতার কারণ হলো এই সমাজ ও রাষ্ট্রে কাঠামোগত ইসলামবিদ্বেষ।"
সংক্ষিপ্ত বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে তারা একটি মিছিল নিয়ে শাপলা চত্বরের দিকে অগ্রসর হয়।



Comments