জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম মন্তব্য করেছেন যে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে 'প্রতীক ভাড়া দেওয়ার দিন শেষ' এবং 'মাঠ আর আগের মতো নেই', কারণ 'আগের ইকুয়েশন এবার মিলবে না'। মঙ্গলবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টে তিনি এই মন্তব্য করেন, যেখানে তিনি জোর দিয়ে বলেন যে জোট করলেও নিজ দলের প্রতীকে নির্বাচন করতে হবে।
আসন্ন ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সোমবার জারি করা গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অধ্যাদেশ তার মন্তব্যের পেছনে প্রধান কারণ। এই সংশোধিত আরপিওতে একগুচ্ছ নতুন বিধান যুক্ত হয়েছে, যা নির্বাচন কমিশনকে শিগগিরই দল ও প্রার্থীর আচরণবিধিমালা চূড়ান্ত করতে সাহায্য করবে।
নতুন আরপিও-এর মূল পরিবর্তনসমূহ:
দলীয় প্রতীক: জোটবদ্ধ নির্বাচন হলেও প্রতিটি দলকেই তাদের নিজস্ব দলীয় প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পদ: প্রার্থীরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কমিটির পদ থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য হবেন। বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, স্কুল, কলেজ ও মাদরাসা পরিচালনা কমিটি বা গভর্নিং বডিতে থাকা কোনো ব্যক্তি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না।
পলাতক আসামি: আদালত ঘোষিত ফেরারি বা পলাতক আসামি প্রার্থীরা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।
সেনাবাহিনীর ভূমিকা: দেড় দশক পর সেনাবাহিনী এবার নির্বাচনে আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর দায়িত্ব পালন করতে পারবে।
একক প্রার্থী ও 'না' ভোট: একক প্রার্থী হলেই জেতা যাবে না; 'না' ভোট চালু হয়েছে।
পুনঃভোট: সমান ভোট পেলে পুনঃভোটের আয়োজন করা হবে।
জামানত ও জরিমানা: জামানতের পরিমাণ বেড়ে ৫০ হাজার টাকা হয়েছে। দল আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে দেড় লাখ টাকা জরিমানা করা হবে।
পোস্টাল ভোটিং ও বাতিল ক্ষমতা: আইটি সাপোর্টে পোস্টাল ভোটিং পদ্ধতি চালু হয়েছে। কোনো কেন্দ্রে অনিয়ম বা গোলযোগ হলে পুরো আসনের ভোট বাতিলের ক্ষমতা পেয়েছে নির্বাচন কমিশন।
এআই ও হলফনামা: এআই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) এর অপব্যবহার নির্বাচনি অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। হলফনামায় অসত্য তথ্য দিলে নির্বাচিত হওয়ার পরও নির্বাচন কমিশন ব্যবস্থা নিতে পারবে।
                



               
Comments