Image description

নোয়াখালীর হাতিয়ায় যৌতুকের দাবিতে ফারজানা বেগম (২৮) নামে এক গৃহবধূকে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) গভীর রাতে বুড়িরচর ইউনিয়নের রেহানিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী ফারজানা বর্তমানে হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মহিলা ওয়ার্ডে ভর্তি আছেন। তিনি জানান, স্বামী আবদুল গণি বিয়ের পর থেকেই স্বর্ণালংকার, নগদ অর্থ, আসবাবপত্রসহ বিভিন্ন জিনিস দাবি করে আসছিল। অনেক কিছু দেওয়ার পরও চাহিদা না মিটলে তাকে বারবার নির্যাতন করে বাবার বাড়ি পাঠানো হতো।

ঘটনার দিন গণি তার মামাতো বোনের বাড়িতে গেলে ফারজানা বাধা দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে স্বামী, শ্বশুর-শাশুড়ি ও ভাশুর মিলে তাকে খাটের পায়ার সঙ্গে বেঁধে পিটাতে থাকে। চিৎকার বন্ধ করতে মুখে ওড়না বেঁধে দেওয়া হয়। একপর্যায়ে বুকের ওপর পা তুলে চাপ দেওয়া হয়। এসময় মোবাইলে নির্যাতনের শব্দ শোনানো হয় ফারজানার বাবাকে। পরে পুলিশ গিয়ে তাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।

ফারজানার বাবা মো. হানিফ বলেন, বিয়ের পর থেকেই মেয়েকে নির্যাতন করা হতো। শান্তির জন্য বারবার টাকা ও জিনিসপত্র পাঠালেও নির্যাতন থামেনি। এমনকি নির্যাতনের শব্দ মোবাইলে শোনানো হতো আমাকে।

এ ঘটনায় হাতিয়া থানার এসআই প্রতিক পাল জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে ফারজানাকে রাতেই উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পারিবারিক কলহ দীর্ঘদিন ধরেই চলছিল। এ বিষয়ে শনিবার সালিশ বৈঠকের তারিখও নির্ধারিত ছিল। তবে বৈঠকের আগেই ঘটে এ ভয়াবহ নির্যাতনের ঘটনা।