Image description

স্বামীর অনৈতিক কর্মকান্ডের প্রতিবাদ করায় স্ত্রীকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়ার প্রতিবাদে ভুক্তভোগী স্ত্রী নীলফামারী প্রাথমিক জেলা অফিসের অফিস সহায়ক সুমি আকতার কল্পনা সংবাদ সম্মেলন করে এর সুষ্ঠু বিচার চেয়ে সবার সহযোগিতা চেয়েছেন। 

শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নীলফামারীর সৈয়দপুর প্লাজায়র একটি রেস্তোরায় ওই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সংবাদ সন্মলনে সুমি আকতার কল্পনার নাবালক ছেলে আহনাফ আবিদ শিহাব, মা আলেয়া খাতুন, ছোটবোন মৌ আকতারসহ উপস্থিত প্রিন্ট, ইলেক্ট্রনিক ও অনলাইন সাংবাদিকদের সামনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ঘটনার শিকার ও নীলফামারী প্রাথমিক জেলা অফিসের অফিস সহায়ক সুমি আকতার কল্পনা। 

তিনি অভিযোগ করে বলেন, তার স্বামী (বর্তমানে তালাক প্রাপ্ত) হাবিবুল্লাহ পায়েল নীলফামারী প্রাথমিক জেলা শিক্ষা অফিসের নৈশ প্রহরী পদে চাকরি করতেন। কিন্তু এই চাকরির সুবাদে তিনি বিভিন্ন ব্যক্তিকে চাকরি পাইয়ে দেবার কথা বলে হাতিয়ে নিতেন টাকা। চাকরি প্রত্যাশিরা চাকরি না পাওয়ায় তারা বাসায় আসতো তাকে খুঁজতে। এমন অবস্থায় সে আত্মগোপনে থাকতো দিনের পর দিন। এহেন পরিস্থিতিতে আমাদের স্বামী স্ত্রীর মাঝে ঝগড়া বিবাদ লেগে থাকতো। বাসার খরচও সে দিতো না। তার অনৈতিকতা কর্মকান্ড নিয়ে আমাদের সম্পর্ক বিষাক্ত  হয়ে ওঠে। ফলে সে আমার সাথে সম্পর্ক ছেদ করে। তার অপকর্মের কারণে চাকরিচ্যুতও হয় সে। 

তিনি বলেন, এসব কারণে সে আমাকে দোষারোপ করে সন্ত্রাসী দিয়ে বাসায় হামলা করে আমাদের বাসা ছাড়া করেছে। এ ব্যপারে পুলিশকে অভিযোগ দিয়ে মিলছে না প্রতিকার। বর্তমানে সে আমাকে প্রান নাশের হুমকি দিচ্ছে। আমাকে চাকরি হারা করতে কর্ম¯’লে যেতে বাধার সৃষ্টি করছে। আমি নীলফামারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে অফিস সহায়ক পদে কর্মরত আছি। আমাকে চাকরি হারা করতে সে আমার চরিত্র হননের চেষ্টা করছে। সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার করছে। আমার জেলা কর্মকর্তার বিরুদ্ধেও সে অপপ্রচারে লিপ্ত আছে। আর তার সহযোগিতায় রয়েছে অফিসের কয়কে কর্মচারী। আব্দুর নূর, আবু তালেব, মো. মামুন, মেজবাউল হক, মতিয়ার রহমান, শ্যামল কুমার, মানিক হোসেন ও মো. লিমন। এরা জোটবদ্ধ হয়ে আমাকে শারীরিকভাবেও লাঞ্চিত করেছে। আমার সাবেক স্বামী হাবিবুল্লাহ পায়েলের হয়ে এরাই আমাকে চাকরি করতে বাধার সৃষ্টি করছে। চাকরিস্থলে উপস্থিত হতে দিচ্ছে না। 

এমতাবস্থায় আমি চাকরি হারা হলে আমার নাবালক বারো বছর বয়সি সন্তান, আমার বৃদ্ধ মা, আমার ছোট বোন ও আমি মিলে চার সদস্যেরর পরিবার রাস্তায় নামা ছাড়া অন্যকোন পথ থাকবে না। এজন্য আমি সমাজের দায়িত্ববান আইনী ব্যক্তিদের সহযোগিতা  প্রত্যাশা করছি।

সংবাদ সম্মেলন প্রিন্ট, ইলেক্ট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

সার্বিক বিষয়ে বিবাদী হাবিবুল্লাহর মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তাঁর মোবাইল বন্ধ থাকায় তার মন্তব্য পাওয়া যায়নি।