Image description

মাদারীপুরের কালকিনিতে বিএনপির নেতাকর্মীদের উপর হামলা ও হয়রানিমূলক মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার কয়ারিয়া ইউনিয়নের কয়ারিয়া ময়দান বাজারে এ সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। 

হামলা-মামলার শিকার ভুক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসীর ব্যানারে এতে শতাধিক মানুষ অংশ নেন।

মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, "গত ১৬ সেপ্টেম্বর কয়ারিয়া ইউনিয়ন বিএনপির কার্যালয় ও আশেপাশে লাগানো শহীদ জিয়াউর রহমান,বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমান ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক এবং মাদারীপুর ৩ আসনের বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী আনিসুর রহমান তালুকদার খোকনের ছবি সম্বলিত ব্যানার, পোস্টার ও ফেস্টুন ছিড়ে ফেলে আওয়ামী লীগের দোসর কিছু দুষ্কৃতিকারীরা। স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা এর প্রতিবাদ করায় ১৭ সেপ্টেম্বর তাদের উপরে হামলা করে বেশকয়েকজনকে আহত করে কিছু আওয়ামী লীগের দোসররা। পরবর্তীতে এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবার কালকিনি থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশ তিনদিন পর অভিযোগটি আমলে নেয়। পাশাপাশি হামলাকারীদের পক্ষ থেকেও একটি মিথ্যা ও হায়রানিমূলক মামলা গ্রহণ করা হয়। পুলিশ কোন প্রকার তদন্ত ছাড়াই মামলাটি গ্রহণ করেছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগী পরিবারের। এ ঘটনার সঠিক তদন্ত-পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী।"

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা আরো অভিযোগ করে জানান, বিগত ১৫ বছর তারা যেভাবে আওয়ামী লীগের দ্বারা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, ঠিক তেমনিভাবে এখনো তারা নির্যাতিত হয়ে আসছেন। প্রশাসন তাদেরকে কোন প্রকার সহায়তা করছে না বলেও অভিযোগ তাদের। এ ঘটনায় কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কে এম সোহেল রানার অপসারণ দাবি করেন তারা।"

এ বিষয়ে কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম সোহেল রান জানান, “কয়ারিয়া ইউনিয়নে দুটি গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় গত ১৮ তারিখ বিকেলে একটি গ্রুপ থানায় মামলা করতে আসলে ঐ দিনেই তাদের অভিযোগটি আমলে নিয়ে মামলা রুজু করা হয়। পরবর্তীতে এ ঘটনায় আহত আরেকটি গ্রুপ মামলা করতে চাইলে তাদের অভিযোগটিও আমলে নেয়া হয়। বর্তমানে দুটি মামলাই তদন্তাধীন রয়েছে। মামলা দুটি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।"