
যশোরের রাজারহাটে পুলিশ পরিচয়ে স্বর্ণ ডাকাতির ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার দিনভর ঢাকা ও যশোরে কোতোয়ালী মডেল থানা এবং জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করে। এ সময় আসামীদের কাছ থেকে গলানো সোনা, হ্যান্ডকাফ, ওয়াকিটকি এবং ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত প্রাইভেটকার উদ্ধার করা হয়।
রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য নিশ্চিত করেন জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি মঞ্জুরুল হক ভূইয়া। তিনি জানান, গত ১৪ জুলাই সকালে যশোরের রাজারহাট রেল ক্রসিংয়ে দুর্বৃত্তরা পুলিশ পরিচয় দিয়ে একটি প্রাইভেটকার থামায়। এরপর তারা সুধীর কুমার দাসের শ্যালক আনন্দ বসু এবং দোকানের কর্মচারী মোঃ রাসেল গাজীকে চোখ বেঁধে ও হাতে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে তাদের কাছ থেকে ১৯ ভরি ০৮ আনা স্বর্ণ, নগদ ২৬ হাজার টাকা এবং চারটি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। পরে মনিরামপুরের ট্যাংরাখালী এলাকার একটি ফাঁকা জায়গায় তাদের ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কোতোয়ালী থানায় একটি ডাকাতি মামলা দায়ের করে ভুক্তভোগী ।
মামলার তদন্তের সূত্র ধরে পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ডাকাতির সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করতে সক্ষম হয়।
তিনি আরও বলেন, গত ২০ সেপ্টেম্বর রাতে ঢাকার কোতোয়ালী থানাধীন তাঁতিবাজার এলাকা থেকে প্রথমে মোঃ উজ্জল হোসেন ও নিশান হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে ডাকাতির পর গলানো ০৫ ভরি ১১ আনা গিনি সোনা উদ্ধার করা হয়, যার আনুমানিক মূল্য ১০ লাখ ১ হাজার টাকা।
উজ্জল ও নিশানের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে একই রাতে যশোরের চাঁচড়া মোড় থেকে তাদের আরও দুই সহযোগী মোঃ মুসাব্বির হোসেন টুটুল এবং রতন শেখকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত ১ জোড়া হ্যান্ডকাফ, ২টি ওয়াকিটকি, ২টি সাদা কসটেপ এবং একটি সাদা প্রাইভেটকার উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ আরও জানায়, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে নিশান হোসেনের বিরুদ্ধে খুন, ডাকাতি, অস্ত্র ও ধর্ষণসহ ১৮টি এবং উজ্জল হোসেনের বিরুদ্ধে ৪টি মামলা রয়েছে। তারা দুজনেই এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী।
Comments