পটুয়াখালীতে শেষ সময়ে প্রতিমা সাজসজ্জায় ব্যস্ত সময় পার করছেন শিল্পীরা

শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে পটুয়াখালীতে মন্ডপে মন্ডপে প্রতিমা তৈরীর শেষ মুহুর্তে প্রতিমা তৈরী ও সাজসজ্জায় রাত-দিন ব্যস্ত সময় পার করছেন শিল্পীরা। পাশাপাশি আইন শৃংঙ্খলা রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনে স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃংঙ্খলা বাহিনী র্যাব, পুলিশসহ সরকারি গোয়েন্দা সংস্থা সমূহের সদস্য তৎপর।
পটুয়াখালী জেলা প্রশাসন সূত্রে জানাগেছে, এ বছর পটুয়াখালী সদরসহ ৮ টি উপজেলায় ১৮৪ টি মন্ডপে দুর্গাপূজা উদযাপনে প্রস্তুতি নিচ্ছে মন্ডপ ও মন্দির সমূহের উদযাপন কমিটি।
১৮৪ টি পূজা মন্ডপের মধ্যে সদর উপজেলায় ২৬ টি, মির্জাগঞ্জে ১৭ টি, দুমকিতে ১০ টি, বাউফলে ৬৬ টি, গলাচিপা ৩১ টি, দশমিনায় ১৪ টি, কলাপাড়ায় ১৪ টি ও রাঙ্গাবালী উপজেলায় ৬ টি মন্ডপ। এ সব মন্ডপে প্রতিমা তৈরী সম্পন্ন করে শিল্পীরা এখন রং তুলির কাজে রাতদিন ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে। অধিকাংশ মন্ডপে সজসজ্জার কাজ শেষ করে মন্ডপ এলাকায় আলোকসজ্জা ও দৃষ্টিনন্দন গেট নির্মানের কাজ করছে ডেকরেটর ও ইলেক্ট্রিশিয়ানের লোকজন।
পটুয়াখালী শহরের নতুন বাজার শ্রী শ্রী জিউর মদনমোহন আখড়াবাড়ি পূজামন্ডপে প্রতিমা তৈরী শিল্পী কলসকাঠির রূপক পাল জানান, প্রতিমা তৈরীর কাজ শেষ করে রং- তুলির কাজও প্রায় শেষ। বুধবার সাজসজ্জার কাজ শেষ করা হবে।
রূপক পাল আরো জানান, এ বছর বাউফলে ৭টিসহ পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, কালিগঞ্জ, কৃষ্ণকাঠি ও বোয়ালিয়া ১ টি করে ১২ টি মন্ডপে প্রতিমা তৈরী করছেন। প্রতি মন্ডপে ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা করে পারিশ্রমিক পেয়েছেন। তাকে সহযোগীতা করছেন তার ছোট ভাই মানিক পাল।
মন্দিরের পুরোহিত সমির গাঙ্গুলি জানান, ৪ আশ্বিন (২১ সেপ্টেম্বর) রবিবার মহালয়া দেবীর পক্ষের আগমন ঘটে। এ বছর স্বর্গ থেকে দেবীর আগমন গজে (ফলম- শস্যপূর্ণ বসুন্ধরা) এবং দেবীর গমন দোলায় (ফলম-মড়ক)। ২৭ সেপ্টেম্বর বাংলা ১০ আশ্বিন শনিবার শারদীয় দুর্গাদেবীর বোধন পূজার মধ্যদিয়ে দুর্গোৎসব শুরু হবে এবং ২ অক্টোবর ১৫ আশ্বিন বৃহষ্পতিবার দুর্গাদেবীর দশমী বিহিত সমাপনান্তে বিসর্জনের মধ্যদিয়ে দুর্গোৎসবের সমাপ্তি ঘটবে বলে পুরোহিত সমির গাঙ্গলী জানান।
এ মন্ডপে পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি সবুজ দে জানান, এ বছর প্রতিমা শিল্পী, কাদামাটি, খর কুটা, কাট, ককসিট, রং ইত্যাদি বাবদ ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা, প্রতিমা সাজসজ্জা, গেট, লাইটিংসহ অন্যান্য বাবদ ৬ থেকে ৭ লাখ টকা মোট ৮ লাখ টাকা থেকে সাড়ে ৮ লাখ টাকা খরচ হবে যা অন্যান্য বছরের চেয়ে বেশী।
সনাতন ধর্মালম্বী সম্প্রদায়ের সর্বোবৃহৎ শারদীয় দুর্গোৎসব নিরাপদে ও শান্তপুর্ণ পরিবেশে উদযাপনের লক্ষ্যে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রশাসন ও আইনশৃংঙ্খলা বিহিনীর একাধিক সভা করেছেন। ইতিমধ্যে র্যাব-৮ পটুয়াখালী ক্যাম্পের সদস্যরা মন্ডপ সমূহ পরিদর্শন করছেন।
এদিকে শারদীয় দুর্গোৎসবে ১৮৪ টি পূজা মন্ডপে আগত ভক্তদের আহার্য্য বাবদ প্রতি মন্ডপে ৫০০ কেজি হারে ৯২.০০০( ৯২মেঃ টন) ত্রান কার্য চাল সংশ্লিস্ট উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের অনুকুলে উপ বরাদ্দ প্রদানের কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা ত্রান ও পুর্নবাসন কর্মকর্তা এসএম দেলোয়ার হোসাইন নিশ্চিত করেছেন।
Comments