Image description

বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলায় একই দিনে দুটি ইসলামিক রাজনৈতিক দলের বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে, যা পৌর এলাকাকে জনসমুদ্রে পরিণত করেছে। জামায়াতে ইসলামী এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ পৃথকভাবে তাদের দাবি-দাওয়া নিয়ে এই সমাবেশের আয়োজন করে। উভয় দলের সমাবেশে পাঁচ দফা দাবি, জুলাই গণহত্যার বিচার, পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের দোসর জাতীয় পার্টির নিষিদ্ধকরণ এবং ১৪ দলের বিচারের দাবি উত্থাপিত হয়।

শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৪টায় বাকেরগঞ্জ উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে জেএসইউ মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় চত্বরে এক বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা আমীর অধ্যাপক ফিরোজ আলমের সভাপতিত্বে এবং অফিস সম্পাদক রেদোয়ানুল হক শাহেদীর সঞ্চালনায় এই সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন বরিশাল জেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি ও বাকেরগঞ্জ-৬ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী মাওলানা মাহমুদুন্নবী তালুকদার।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বরিশাল জেলা জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ড. এস এম মাহফুজুর রহমান, উপজেলা সেক্রেটারি মাওলানা আবুল হোসেন, সহকারী সেক্রেটারি প্রফেসর মো. বশির উদ্দিন, সহকারী সেক্রেটারি এইচ এম জাফরুল্লাহ, বাকেরগঞ্জ পৌর আমীর মো. নুরুল হক, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের অধ্যাপক মোশতাকুর রহমান, ব্যবসা ও মিডিয়া শাখার সাইফুল ইসলাম আল-আমিন এবং বরিশাল জেলা ছাত্র শিবিরের সেক্রেটারি সাঈদ আহমেদ। সমাবেশে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন, পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনসহ পাঁচ দফা দাবি জোরালোভাবে উত্থাপিত হয়।

একই সময়ে বাকেরগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড চত্বরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের উপজেলা শাখার উদ্যোগে আরেকটি বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা শাখার সভাপতি মাওলানা নাসির উদ্দিন (রোকন) ডাকুয়ার সভাপতিত্বে এবং সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা কামাল উদ্দিনের সঞ্চালনায় এই সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা শাখার সেক্রেটারি মাহমুদুল হাসান জাহাঙ্গীর, উপজেলা পূর্ব শাখার সভাপতি মাওলানা মাহবুব হাসান ইলিয়াস এবং ১৪ নং নিয়ামতি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. হুমায়ুন কবির।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ তাদের সমাবেশে জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধকরণ, জুলাই গণহত্যার বিচার এবং পাঁচ দফা দাবির পাশাপাশি পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের দোসরদের বিচারের দাবি তুলে ধরে।

দুটি ইসলামিক দলের এই সমাবেশ ও মিছিলকে কেন্দ্র করে বাকেরগঞ্জ পৌর এলাকায় বিপুল সংখ্যক মানুষের সমাগম ঘটে। সমাবেশগুলো শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয় এবং উভয় দল তাদের দাবি-দাওয়া জনসমক্ষে তুলে ধরে। এই ঘটনা বাকেরগঞ্জের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে নতুন গতি সঞ্চার করেছে বলে স্থানীয় পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন।