Image description

ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলার পদ্মা নদীতে একটি ভয়াবহ স্পিডবোট দুর্ঘটনায় দুর্গা রানী রায় (৬৫) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় শিশুসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে গোপালপুর ঘাট থেকে দোহারের চরমৈনট ঘাটে যাওয়ার পথে নদীর প্রবল ঢেউয়ের আঘাতে স্পিডবোটের তলা ফেটে গিয়ে ডুবে যায়।

প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা পর আরেকটি স্পিডবোট ঘটনাস্থলে পৌঁছে যাত্রীদের উদ্ধার করে। নিহত দুর্গা রানী রায় চরভদ্রাসন উপজেলার গাজিরটেক ইউনিয়নের জয়দেব সরকারের ডাঙ্গী গ্রামের বাসিন্দা বিমল রায়ের স্ত্রী। আহতদের মধ্যে তাঁর তিন বছরের নাতি লক্ষণ রায়ও রয়েছেন।

একজন যাত্রী, মাসুদ আলম, জানান, “সাধারণত এ ধরনের স্পিডবোটে ১২ জন যাত্রী পরিবহন করা হয়। কিন্তু দুর্ঘটনাকবলিত বোটে ১৮ জন যাত্রী তোলা হয়েছিল। নদীর স্রোত ও ঢেউয়ের আঘাতে বোটের তলা ফেটে পানি ঢুকে যায়, ফলে বোটটি ডুবে যায়।”

চরভদ্রাসন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. হাফিজুর রহমান বলেন, “আমাদের হাসপাতালে একজন নিহত ও ৮ জন আহতকে আনা হয়েছে। এদের মধ্যে গুরুতর আহত মারিয়ার শ্বাসকষ্ট দেখা দেওয়ায় তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।”

চরভদ্রাসন ফায়ার সার্ভিসের ভারপ্রাপ্ত স্টেশন অফিসার মো. মর্তুজা ফকির জানান, “ঘটনাস্থল থেকে একজনের মরদেহ ও ১৭ জন যাত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে। বোটের তলা ফেটে পানি ঢুকে ডুবে যাওয়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত একজনকে ফরিদপুরে পাঠানো হয়েছে।”

এ ঘটনা স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। পদ্মা নদীতে স্পিডবোটের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। স্থানীয়রা জানান, অতিরিক্ত যাত্রী বহন এবং নৌযানের রক্ষণাবেক্ষণের ঘাটতির কারণে এ ধরনের দুর্ঘটনা ঘটছে। কর্তৃপক্ষের কাছে নৌপথে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন তারা।