বিকেলে শ্রমিকদল ও যুবদল নেতার সাংবাদিককে হুমকি; রাতে চাইলেন ক্ষমা

ফরিদপুরের সালথায় বিকেলে দৈনিক যুগান্তর প্রতিনিধি শফিকুল ইসলাম ও তার ভাই নয়াদিগন্তের প্রতিনিধি রেজাউল করিমকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে রাতেই সাংবাদিক সমাজের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন উপজেলা শ্রমিকদলের সভাপতি কামাল বিশ্বাস ও কথিত যুবদল নেতা বালাম বিশ্বাস।
গতকাল শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত এ ঘটনা ঘটে। হুমকিদাতারা সাংবাদিক শফিকুলের বাড়িতে গিয়ে তার মা-বাবার কাছে ক্ষমা চান। পাশাপাশি নিজেদের ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েও ক্ষমতা চান।
ফেসবুক স্ট্যাটাসে তারা লিখেন- সালথায় সাংবাদিকদের সাথে আমাদের একটা ভুল বুঝাবুঝি হয়েছে। আমরা প্রিয় সাংবাদিক ভাইদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করছি। ঘটনাটি মিমাংসা হয়েছে। আমরা এখন থেকে মিলে-মিশে চলবো- ইনশাআল্লাহ্।
জানা গেছে, সাংবাদিক শফিকুলের মালিকানাধীন সালথা বাজারের বটতলায় একটি দোকান ঘর ভাড়া নেন আনোয়ার মোল্যার ছেলে লিয়াকত মোল্যা (৩৩)। এরপর ভাড়ার পরিবর্তে ওই দোকান ঘরে নিজেরাই ব্যবসার সিদ্ধান্ত নিয়ে ভাড়াটিয়া লিয়াকতকে ঘর ছেড়ে দেওয়ার জন্য মৌখিকভাবে জানান। তাকে নিয়মানুযায়ী তিনমাসের নোটিশও দেওয়া হয়।
লিয়াকত মোল্লা দোকান ছাড়বেন না বলে জানালে শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সালথা বাজার কমিটির সেক্রেটারীর অফিসে বিষয়টি নিয়ে সালিশ বসে। সালিশে শফিকুল ইসলামকে সালথা উপজেলা শ্রমিক দলের সভাপতি কালাম বিশ্বাস ও যুবদলের নেতা দাবিদার বালাম দাই পাড়ায় ধইর্যা মাইর্যা ফেলবো বলে হুমকি দেন।
এই ঘটনা ঘটার পরে সাংবাদিকদের বিভিন্ন মহল থেকে বিভিন্নভাবে প্রতিবাদ জানানোর পরে বালাম রাতে শফিকুলের অফিস ও তার গিয়ে বাড়িতে গিয়ে ক্ষমা চেয়েছেন। এছাড়া রবিরার দুপুরে বালাম ও কালাম তাদের ফেসবুক আইডিতে স্ট্যাটাসে মাধ্যমে সালথায় সাংবাদিকদের সাথে দুর্ব্যবহার করার কারণে ক্ষমা চান।
ভুক্তভোগি সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম বলেন, হামলার চেষ্টাকারীরা সালথা প্রেসক্লাবের সকল সাংবাদিকের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। আমার বাড়িতে এসে আমার মা-বাবার কাছেও ক্ষমতা চেয়েছেন। তাই আমি আর বিষয়টি নিয়ে আগাতে চাচ্ছি না।
সালথা প্রেসক্লাবের সভাপতি নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, তারা তাদের ভুল বুঝতে পেরে সাংবাদিক সমাজের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। যেহুত সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম ও তার পরিবার ক্ষমতা করে দিয়েছেন। তাই বিষয়টা নিয়ে আর কোনো পদক্ষেপ নিতে চাই না। তবে এমন আচরণ আমরা কারো কাছ থেকে প্রত্যাশা করি না।
Comments