
কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহামুদ জুয়েলের নেতৃত্বে বরিশালের গৌরনদী থেকে বানারীপাড়া পর্যন্ত এক বিশাল পথসভা ও মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই শোভাযাত্রায় কয়েক হাজার মোটরসাইকেল নিয়ে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা অংশগ্রহণ করেন, যা ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে কয়েক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজটের সৃষ্টি করে।
মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় সাইফ মাহামুদ জুয়েল ঢাকা থেকে সড়কপথে গৌরনদী উপজেলা বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছান। সেখানে উজিরপুর ও বানারীপাড়ার বিএনপি এবং অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা তাকে ফুলের শুভেচ্ছা জানিয়ে বরণ করেন। এরপর তিনি মহাসড়কের দুই ধারে অবস্থিত শারদীয় দুর্গাপূজার মণ্ডপগুলো পরিদর্শন করেন এবং সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
এই পথসভায় উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান সরদার, সদস্য সচিব মুরাদ রনি, ছাত্রদল নেতা এইচ এম সুমন, সাবেক ছাত্রদল ও যুবদল নেতা মাকসুদুর রহমান সুমনসহ দুই উপজেলার বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের হাজারো নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন। সাইফ মাহামুদ জুয়েল দিনভর বানারীপাড়া উপজেলার বিভিন্ন পূজা মণ্ডপ পরিদর্শন করেন এবং সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় দুর্গাপূজার শুভেচ্ছা জানান।
পথসভায় সাইফ মাহামুদ জুয়েল বলেন, “ধর্ম যার যার, বাংলাদেশ সবার। সনাতন ধর্মাবলম্বী হওয়ার কারণে কেউ যদি নির্যাতনের শিকার হয়, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেবে। কাউকে সংখ্যালঘু মনে করা চলবে না। আমরা সবাই এই দেশের সন্তান, এই দেশের জমি-জমার ওয়ারিশ।” তিনি আরও বলেন, “কেউ ধর্মীয় কারণে নির্যাতন করলে আমরা তার প্রতিবাদ করব। আপনাদের দায়িত্ব বিএনপি ও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের।”
তিনি জোর দিয়ে বলেন, “এ দেশে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ও মুসলমানদের মধ্যে কোনো ভেদাভেদ নেই। একটি মহল তাদের রাজনৈতিক স্বার্থ ও অবৈধ ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে সংখ্যালঘু ও সংখ্যাগুরু তকমা দিয়ে জাতিকে বিভক্ত করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু আজ আমরা সব ভেদাভেদ ভুলে একত্রিত হয়েছি। আমরা সবাই বাংলাদেশী।”
Comments