শিবগঞ্জে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বাড়ি নির্মাণ, পুলিশের সহযোগিতা পাননি ভুক্তভোগী

বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার ঝাউপাড়া গ্রামে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জোরপূর্বক বাড়ি নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী বারবার শিবগঞ্জ থানায় অভিযোগ করেও কোনো সহযোগিতা পাননি। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ময়দানহাট্টা ইউনিয়নের ঝাউপাড়া গ্রামের বাসিন্দা লজি মন্ডলের ছেলে হেলাল উদ্দিন (৪৮) ময়দানহাট্টা মৌজার ৪৯৩, ৪৩৬, ও ৪৩৭ নম্বর দাগে ১১ শতক জমি ক্রয় করে ভোগদখল করে আসছেন। কিন্তু ২০২৩ সালের ৪ নভেম্বর হেলালের বড় ভাই আব্দুল জলিল মন্ডল (৫৮) ঐ জমির মালিকানা দাবি করে জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা করেন। এ নিয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে একাধিক শালিস বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। শালিসে জমির মালিকানা হেলাল উদ্দিনের পক্ষে প্রমাণিত হলেও আব্দুল জলিল তা মানতে অস্বীকার করেন।
পরবর্তীতে হেলাল উদ্দিন আদালতে মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলার শুনানি না হওয়া পর্যন্ত জমির অবস্থা ও প্রকৃতি পরিবর্তন না করার জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করেন এবং শিবগঞ্জ থানাকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন। কিন্তু চলতি বছরের ৪ আগস্ট আব্দুল জলিল আবারও ঐ জমি খনন করে বাড়ি নির্মাণের প্রস্তুতি শুরু করেন। এ সময় হেলাল উদ্দিন বাধা দিলে তাকে মারধর করে গুরুতর আহত করা হয়।
মঙ্গলবার বিকালে ভুক্তভোগী হেলাল উদ্দিন বলেন, “আমার কেনা সম্পত্তি আব্দুল জলিল জোর করে দখল করেছে। আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও তিনি বাড়ি নির্মাণের কাজ শুরু করেছেন। আমি বারবার থানায় গিয়েছি, কিন্তু দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এসআই মামুন আমার অভিযোগে কোনো গুরুত্ব দেননি।”
অভিযুক্ত আব্দুল জলিল ঘটনাস্থলে না থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে তার ছেলে বিপুল মন্ডল বলেন, “মোট জমি ২২ শতাংশ। একটি দলিলে চারজনের অংশ রয়েছে। আমার চাচা হেলাল আগেই তার অংশ সাড়ে ৫ শতাংশ বের করে পুকুর খনন করেছেন। দলিলে জমির সীমানা উল্লেখ না থাকায় তিনি এখন বলছেন, তিনি অন্য পাশের জমি নেবেন। কিন্তু আমাদের বাড়িঘর ইতোমধ্যে তৈরি হয়ে গেছে। এখন জায়গা পরিবর্তন করা সম্ভব নয়। আদালতের নির্দেশে আমরা নির্মাণকাজ বন্ধ রেখেছি। শুনানির পর আদালতের নির্দেশ মেনে কাজ করব।”
শিবগঞ্জ থানার এসআই মামুন জানান, “আদালতের নিষেধাজ্ঞা পাওয়ার পর আমরা উভয় পক্ষকে ডেকে সতর্ক করেছি এবং আদালতে রিপোর্ট পাঠিয়েছি। এরপরও যদি কেউ নির্মাণকাজ চালিয়ে যায়, তাহলে তার বিরুদ্ধে আদালতে ১৮৮ ধারায় মামলা দায়ের করতে হবে।”
Comments