মুক্তাগাছায় ভ্যানচালক হত্যার ঘটনায় প্রতিবেশীর মৃত্যুদণ্ড

ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় ভ্যানচালক জাহিদুল ইসলাম হত্যা মামলায় প্রতিবেশী সোহেল রানাকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত। ময়মনসিংহের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. সামছুদ্দিন এ রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সোহেল রানা মুক্তাগাছা উপজেলার মন্ডলসেন পশ্চিমপাড়ার বাসিন্দা এবং ভ্যানচালক চান মিয়ার ছেলে। রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মামলার বিবরণ অনুযায়ী, ২০১৫ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর দুপুরে মন্ডলসেন পশ্চিমপাড়ার বাসিন্দা রফিকুল ইসলামের ছেলে ভ্যানচালক জাহিদুল ইসলাম নিজের ভ্যান নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন। রাত গভীর হলেও তিনি বাড়ি না ফেরায় এবং তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়ায় পরিবারের সদস্যরা তার খোঁজ শুরু করেন। পরদিন সকালে মন্ডলসেন এলাকার একটি খালের পাড়ে গলাকাটা অবস্থায় জাহিদুলের মরদেহ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় জাহিদুলের বাবা রফিকুল ইসলাম মুক্তাগাছা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ তদন্তের মাধ্যমে ঘটনার সঙ্গে প্রতিবেশী সোহেল রানার সম্পৃক্ততা নিশ্চিত করে এবং তাকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করে। দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়া ও মামলার বিষয়াদি পর্যালোচনার পর বিচারক মো. সামছুদ্দিন সোহেল রানাকে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন।
রায়ের প্রতিক্রিয়ায় নিহত জাহিদুলের পিতা রফিকুল ইসলাম বলেন, “এ রায়ে আমি এবং আমার পরিবার খুশি হয়েছি। তবে আরও খুশি হতাম যদি তার ফাঁসি কার্যকর হতে দেখতে পেতাম।”
মামলাটিতে রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন আবুল কালাম আজাদ, এবং অভিযুক্ত সোহেল রানার পক্ষে আইনজীবী ছিলেন মো. শহীদুল হক শহীদ।
এই রায় স্থানীয়ভাবে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
Comments