Image description

ভারতের দ্রুত বর্ধনশীল ডিজিটাল পেমেন্ট ইকোসিস্টেমে যুক্ত হচ্ছে এক নতুন মাত্রা। এখন থেকে জনপ্রিয় এআই চ্যাটবট চ্যাটজিপিটি ব্যবহারকারীরাও ডিজিটাল পেমেন্টের মাধ্যমে অনলাইন কেনাকাটার সুযোগ পাবেন। ন্যাশনাল পেমেন্টস কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া (এনপিসিআই), ফিনটেক প্রতিষ্ঠান রেজরপে এবং চ্যাটজিপিটির নির্মাতা ওপেনএআই-এর যৌথ উদ্যোগে এই পাইলট প্রকল্পটি চালু হতে যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো গণমাধ্যমকে এই পরীক্ষামূলক উদ্যোগের বিষয়ে অবহিত করেছে।

এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য হলো, ভারতের নিজস্ব পেমেন্ট নেটওয়ার্ক 'ইউনিফাইড পেমেন্টস ইন্টারফেস' (ইউপিআই) ব্যবহার করে চ্যাটজিপিটি প্ল্যাটফর্মে অনলাইন কেনাকাটার সুবিধা প্রদান করা। এটি ভারতের ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবস্থাকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। এর আগে চলতি বছর অ্যালফাবেটের গুগল এবং পারপ্লেক্সিটি এআই-এর মতো শীর্ষস্থানীয় এআই প্রতিষ্ঠানগুলোও এআই প্রযুক্তিভিত্তিক নিজস্ব পেমেন্ট সার্ভিস চালু করেছে।

চ্যাটবটগুলিতে ই-কমার্স পেমেন্ট সুবিধা দেওয়ার ক্ষেত্রে 'এজেন্টিক এআই'-এর সক্ষমতা ব্যবহার করা হবে। এজেন্টিক এআই প্রযুক্তি ব্যবহারকারীদেরকে নির্দিষ্ট এআই প্ল্যাটফর্মে থেকেই ডিজিটাল লেনদেন সম্পন্ন করার সুযোগ করে দেয়। এই ধরনের এআই মডেল মানুষের ন্যূনতম হস্তক্ষেপেই একাধিক ধাপের কাজ সম্পন্ন করতে পারে, অর্থাৎ প্রতিটি পদক্ষেপে মানুষের নির্দেশনার প্রয়োজন হয় না। রেজরপে-এর প্রধান নির্বাহী (সিইও) হার্ষিল মাথুর এই প্রসঙ্গে বলেছেন, "এজেন্টিক পেমেন্টের মাধ্যমে আমরা এআই অ্যাসিসট্যান্টগুলোকে কেবল তথ্য খুঁজে বের করার টুল থেকে সম্পূর্ণ শপিং এজেন্টে রূপান্তরিত করতে পেরেছি।"

পরীক্ষামূলক এই প্রকল্পে ইউপিআই-এর সদ্য চালু হওয়া 'রিজার্ভ পে' ফিচারটি ব্যবহার করা হবে। এই ফিচারটির মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা নির্দিষ্ট মার্চেন্টের কাছ থেকে কেনাকাটার জন্য অর্থ সংরক্ষণের সুবিধা পাবেন। ভারতের দ্রুততম পেমেন্ট নেটওয়ার্কগুলোর মধ্যে অন্যতম ইউপিআই, যেখানে প্রতি মাসে ২০ বিলিয়ন বা ২ হাজার কোটিরও বেশি লেনদেন সম্পন্ন হয়।
এই পাইলট প্রকল্পের সাথে যুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা এই পরিষেবাটিকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে কীভাবে প্রসারিত করা যায় এবং ইউপিআই ব্যবহার করে এআই এজেন্ট টুলগুলোকে কীভাবে নিরাপদে, সুরক্ষিত উপায়ে এবং ব্যবহারকারী-নিয়ন্ত্রিত পদ্ধতিতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে লেনদেন সম্পন্ন করার সক্ষমতা প্রদান করা যায়, তা মূল্যায়ন করবে।

এই পরীক্ষামূলক প্রকল্পের ব্যাংকিং অংশীদার হিসেবে কাজ করছে অ্যাক্সিস ব্যাঙ্ক এবং এয়ারটেল পেমেন্টস ব্যাঙ্ক। টাটা গ্রুপের মালিকানাধীন ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম বিগবাস্কেট-এর মতো প্রতিষ্ঠানগুলোও জনপ্রিয় চ্যাটবট চ্যাটজিপিটির মাধ্যমে ভোক্তাদেরকে কেনাকাটার সুযোগ করে দিতে আগ্রহী।