Image description

যুদ্ধবিরতি কার্যকরের পর গাজায় আবারও নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে মরিয়া হামাস প্রায় ৭ হাজার যোদ্ধাকে ডেকে পাঠিয়েছে। বিবিসির এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, সংগঠনটির সদস্যদের বরাতে এই তথ্য জানা গেছে। এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি জেলায় হামাসের সশস্ত্র ইউনিট মোতায়েন করা হয়েছে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, যেসব এলাকা থেকে ইসরায়েল সেনা প্রত্যাহার করেছে, সেসব এলাকায় হামাস পাঁচজন নতুন গভর্নরও নিয়োগ দিয়েছে।

২০০৭ সাল থেকেই হামাস গাজা নিয়ন্ত্রণ করে আসছে, যা ইসরায়েল এবং তার মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের তীব্র আপত্তির কারণ। বিভিন্ন সময়ে গাজায় হামাস নির্মূলের লক্ষ্যে ইসরায়েল হামলা চালিয়েছে, যার মধ্যে গত দুই বছরের আগ্রাসন ছিল সবচেয়ে ভয়াবহ। এর মূল লক্ষ্যই ছিল হামাস নির্মূল করা।

দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে গাজায় কার্যকর হয়েছে যুদ্ধবিরতি। এর সঙ্গেই আবারও সামনে এসেছে পুরনো প্রশ্ন—কে সামলাবে যুদ্ধ-পরবর্তী গাজার শাসনভার?

এই পরিস্থিতিতে, গাজার যেসব এলাকা ইসরায়েলি সেনারা ছেড়ে গেছে, সেগুলোর নিয়ন্ত্রণ আবারও নিতে প্রায় সাত হাজার সদস্যকে ডেকে পাঠিয়েছে হামাস। ক্ষুদে বার্তায় জাতীয় ও ধর্মীয় দায়িত্ব পালনের আহ্বানে সাড়া দিতে বলা হয়েছে তাদের। একই সঙ্গে এসব এলাকায় হামাস পাঁচজন নতুন গভর্নর নিয়োগ দিয়েছে, যারা বিদেশে হামাসের অভিযানে সামরিক শাখার ব্রিগেড কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

বিবিসির দাবি, গাজা থেকে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে ধারণা করা হচ্ছে, এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি জেলায় হামাসের সশস্ত্র ইউনিট মোতায়েন করা হয়েছে।

এর আগে গাজায় যৌথ টাস্কফোর্সের অংশ হিসেবে ২০০ সেনা মোতায়েনের কথা জানায় যুক্তরাষ্ট্র। তবে গাজার ভেতরে কোনো মার্কিন সেনা মোতায়েন হবে না বলেও জানানো হয়েছে। ট্রাম্প প্রশাসনের দাবি, গাজায় স্থিতিশীলতা ফেরাতেই এই সেনা মোতায়েন। এদিকে গাজা পুনর্গঠনে সহায়তা করতে আগ্রহী তুরস্ক বলছে, প্রয়োজনে সেনা পাঠাতে প্রস্তুত তারা। তবে এ নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে ইসরায়েল।

যুদ্ধ-পরবর্তী গাজার শাসনভার নিয়ে বাড়তে থাকা অনিশ্চয়তার মধ্যে হামাসের সংগঠিত হওয়ার প্রচেষ্টা অপ্রত্যাশিত নয় বলে জানিয়েছে বিবিসি।