পাটগ্রামে জাল দলিলের মাধ্যমে জমি দখলের অভিযোগ

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলায় জাল দলিল তৈরি করে জমি দখলের ঘটনা ঘটেছে। প্রকৃত মালিক আব্দুল করিম (৭০) জমি উদ্ধারের জন্য থানা-পুলিশ ও স্থানীয় গন্যমান্যদের কাছে গিয়েও দখল ফিরে পাননি।
তদন্তে জানা গেছে, পাটগ্রামের জোংড়া ইউনিয়নের রামকান্ত গ্রামের চ্যাংরামের নিকট ১৯৭৩ সালে নরকান্ত রায় ৮৫ শতাংশ জমি ক্রয় করেন। পরবর্তীতে ১৯৮৮ সালে আব্দুল করিম নরকান্তের কাছ থেকে ৩৭ শতাংশ জমি ক্রয় করেন। দীর্ঘদিন ভোগদখল না করায়, তিনি জমিটি প্রতিবেশীদের কাছে বন্ধক রেখে টাঙ্গাইলে চলে যান।
এরপর প্রতিবেশী ময়নাল হকের (৫৫) কাছে জমিটি পুনরায় বন্ধক রেখে ময়নাল জমি দখল, বসতবাড়ি নির্মাণ ও চাষাবাদ শুরু করেন। করিম ফিরে এসে জমি উদ্ধারের চেষ্টা করলে ময়নাল কৌশলে জাল দলিল তৈরি করে ২০ মে ২০২৫ তারিখে নামজারি করে নেন।
অভিযোগ উঠেছে, জোংড়া ইউনিয়নের তহসিলদার, দলিল লেখক ও দালালদের সহযোগিতায় ময়নাল মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে জাল দলিল তৈরি করে অনলাইনে নামজারি করেছে।
পরে সহকারী কমিশনার ও ইউএনও উত্তম কুমার দাশ ময়নালের করা নামজারি বাতিল করেন এবং জমির প্রকৃত মালিক আব্দুল করিমকে নামজারি দিতে নির্দেশ দেন। তবে অনলাইনে এখনও ময়নালদের নাম মালিকানা হিসেবে দেখা যাচ্ছে এবং তারা জমি ছাড়ছেন না।
জমি মালিক আব্দুল করিম অভিযোগ করেন, জীবিকার তাগিদে টাঙ্গাইলে যাওয়ার সময় জমি বন্ধক রেখেছিলাম, ফিরে এসে দেখি জমি ময়নালদের দখলে। স্থানীয় বৈঠক ও থানায় অভিযোগ করেও কোনো সমাধান হয়নি।
ময়নাল দাবি করেছেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে জমি ভোগদখল করছি এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র রয়েছে।
ইউএনও উত্তম কুমার দাশ বলেন, যদি জাল দলিলের মাধ্যমে নামজারি করার ঘটনায় আমাদের অফিসের কেউ জড়িত থাকে, তবে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Comments