
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকা কন্টেন্ট ক্রিয়েটর রিপন মিয়াকে সবাই চেনেন ‘রিপন ভিডিও’ নামে। হিউমার ও গ্রামীণ কনটেন্টের মাধ্যমে পরিচিতি পেলেও সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন বিজ্ঞাপন, চলচ্চিত্র প্রচারণা ও ব্র্যান্ডের সঙ্গে যুক্ত হয়ে নিজেকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছেন তিনি।
তবে সফলতা আর উত্থানের পেছনে লুকিয়ে থাকা এক সত্য এবার প্রকাশ্যে এসেছে। রিপন মিয়ার বিরুদ্ধে নিজের পরিবার, বিশেষ করে মা-বাবাকে অস্বীকার করার অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) বেসরকারি টেলিভিশন এটিএন নিউজের একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে উঠে এসেছে রিপনের পারিবারিক জীবনের এমন কিছু চিত্র, যা হাজারো মানুষের মনে নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।
প্রকাশিত ওই সংবাদের তথ্য অনুযায়ী, রিপনের মা অভিযোগ করেন রাতারাতি জনপ্রিয়তা পেয়ে এখন গরিব বাবা-মায়ের পরিচয় দিতেও নাকি লজ্জা পায় রিপন।
এটিএন নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘খুব কষ্ট করে মানুষ করছি। কিন্তু এখন পরিচয় দেয় না। আমরা গরিব। পরিচয় দিলে যদি ওর মান-সম্মান না থাকে। ও বাড়ি করেছে।’
রিপনের মায়ের অভিযোগ, পুরনো ভাঙা বাড়ি ছেড়ে আলাদা পাকা বাড়ি নির্মাণ করে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে থাকেন তিনি (রিপন)। ভরণপোষণও দেন না।
তিনি জানান, রিপন মিয়ার বিয়ে তারাই (পারিবারিকভাবে) দিয়েছেন। তার এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। তবে স্ত্রী-সন্তানের কথা অস্বীকার করেছেন রিপন মিয়া।
প্রকাশিত ওই সংবাদে দেওয়া বক্তব্যে রিপন দাবি করেন, যাকে তার স্ত্রী বলা হচ্ছে তিনি আসলে তার বড় ভাইয়ের স্ত্রী।
তবে গতকাল নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ভিন্ন অভিযোগ করেন রিপন মিয়া। অনুমতি ছাড়া সাংবাদিকরা তার ঘরে প্রবেশ করে পরিবারের সদস্যদের ভিডিও করেছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি। ফেসবুকে দেওয়া রিপনের ওই পোস্টটি মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায়।
এদিকে বাবা-মাকে অস্বীকার করলেও রিপনের জন্য মন খুলে দোয়া করেন তার মা। মনে চাপা কষ্ট নিয়ে তিনি বলেন, আমাদের আল্লাহ যেভাবে রাখছে রাখুক। সে বড় হইছে আরো বড় হোক, দোয়া করি।
রিপনের বাবা জানান, প্রথমে তার সহযোগিতায় ভিডিও বানাতো রিপন। পরে তাকে বাদ দিয়ে অন্য কারো সঙ্গে ভিডিও বানানোর আক্ষেপে এখন ছেলের ভিডিও দেখেন না তিনি। তার দাবি, ছেলে ভরণপোষণ দেয় না। তবে খোঁজ-খবর নেয়।
জনপ্রিয় কন্টেন্ট নির্মাতা হিসেবে রিপনের পথচলা শুরু হয় মাটির কাছাকাছি থেকেই। কিন্তু হঠাৎ করে পাওয়া খ্যাতি এবং সামাজিক অবস্থান পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গেই এমন বদল এসেছে বলে অভিযোগ করছে পরিবার।
Comments