বিএনপি আগামী সংসদ নির্বাচনে কমপক্ষে ৫ শতাংশ নারী প্রার্থীকে সরাসরি মনোনয়ন দেওয়ার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন দলটির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান। তিনি বলেন, এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে, যা নারীদের রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন ও অধিকার প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। মঙ্গলবার খুলনা প্রেসক্লাবে ‘নারী ও শিশু অধিকার ফোরাম’ আয়োজিত খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরা জেলার সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

বেগম সেলিমা রহমান বলেন, “দেশে নারী শিক্ষা ও পেশাজীবী খাতে নারীদের বর্তমান অবস্থান জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে গড়ে উঠেছে। এখন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে নারী জাগরণের নতুন অধ্যায় শুরু হবে।” তিনি আরও জানান, নারীদের রাজনৈতিক অংশগ্রহণ বাড়াতে বিএনপি কাজ করে যাচ্ছে, যা দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে অবদান রাখবে।

সভায় নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব নিপুন রায় চৌধুরী বলেন, “আগামী নির্বাচনে বিএনপি যোগ্য নারী প্রার্থীদের মনোনয়ন দেবে এবং তারা জনগণের ভোটে বিজয়ী হবেন।” তিনি জোর দিয়ে বলেন, “বিএনপি নারীদের রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ এবং এই লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।”

অনুষ্ঠানে বিএনপির কেন্দ্রীয় তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল বলেন, “নারীদের অধিকার রক্ষায় বিএনপি সবসময় সোচ্চার। নারীদের রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক মুক্তি ছাড়া দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়।” তিনি আরও বলেন, দলটি নারীদের অধিকার নিশ্চিত করতে সর্বদা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেন, “বিএনপি নারীদের জন্য একটি নিরাপদ ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ গড়তে চায়। নারীদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কর্মসংস্থানের সুযোগ নিশ্চিত করতে আমরা কাজ করছি। আগামী নির্বাচনে নারীদের ব্যাপক অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে বিএনপি সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাবে।”

সভায় খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরা জেলার বিএনপির নারী নেত্রীরা অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বাবু জয়ন্ত কুমার কুন্ড, শফিকুল আলম মনা, এম এ সালাম, রহমত উল্লাহ পলাশ, মনিরুজ্জামান মন্টু, শফিকুল আলম তুহিন প্রমুখ। সভাটি সঞ্চালনা করেন নিপুন রায় চৌধুরী।

বিএনপি’র এই উদ্যোগ নারীদের রাজনৈতিক অংশগ্রহণ বাড়ানোর পাশাপাশি দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে আরও শক্তিশালী করবে বলে আশা করা হচ্ছে।