
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু), হল সংসদ ও সিনেট ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯টি একাডেমিক ভবনে স্থাপিত ১৭টি কেন্দ্রে একযোগে ভোটগ্রহণ চলছে।
ভোটাররা সকাল থেকেই লাইনে দাঁড়িয়ে নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগে অপেক্ষা করছেন। দীর্ঘ ৩৫ বছর পর নির্বাচন হওয়ায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে পুরো ক্যাম্পাসজুড়ে।
এর আগে সকাল সোয়া ৭টার দিকে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী সরঞ্জাম বিতরণ শুরু হয়। প্রিজাইডিং অফিসারদের হাতে হালনাগাদ ভোটার তালিকা, স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স, ওএমআরযুক্ত ব্যালট পেপার, অমোচনীয় কালি ও অন্যান্য সরঞ্জাম তুলে দেওয়া হয়।
নির্বাচন কমিশনের সদস্যরা শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি সামলাতে ব্যস্ত সময় পার করেন। সাংবাদিকদের জন্য অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড ও যানবাহনের পাসও বিতরণ করা হয়।
রাকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. এফ নজরুল ইসলাম বলেন, “সব কেন্দ্রেই যথাসময়ে ব্যালট বাক্স ও নির্বাচনী সামগ্রী পৌঁছে গেছে। সুষ্ঠু ভোটগ্রহণ নিশ্চিতে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।”
নিরাপত্তা রক্ষায় ক্যাম্পাসে মোতায়েন করা হয়েছে দুই হাজার পুলিশ সদস্য, ৬ প্লাটুন বিজিবি ও ১২ প্লাটুন র্যাব। সব ভোটকেন্দ্রে সিসিটিভি নজরদারি রয়েছে, ব্যবহৃত হচ্ছে স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স। মোট ৯টি ভবনের ১৭টি কেন্দ্রের ৯৯০ বুথে চলছে ভোটগ্রহণ।
ভোট পরিচালনায় রয়েছেন ২১২ জন শিক্ষক। এর মধ্যে ১৭ জন প্রিজাইডিং অফিসার ও বাকিরা সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার। এছাড়া ৯১ জন পোলিং অফিসার দায়িত্ব পালন করছেন।
রাকসু নির্বাচনে মোট ভোটার ২৮ হাজার ৯০১ জন, এর মধ্যে ৩৯ দশমিক ১০ শতাংশ নারী এবং ৬০ দশমিক ৯০ শতাংশ পুরুষ। মোট ৮৬০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় রাকসুর ২৩ পদে ৩০৫ জন, সিনেটের ৫ পদে ৫৮ জন এবং ১৭টি হল সংসদের ২৫৫ পদে ৫৫৫ জন।
তফসিল অনুযায়ী, ভোটগ্রহণ চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। ভোটশেষে রাকসু কোষাধ্যক্ষ কার্যালয়ে গণনা শেষে কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে ফলাফল ঘোষণা করা হবে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মোস্তফা কামাল আকন্দ বলেন, ‘সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। আমাদের লক্ষ্য অংশগ্রহণমূলক, স্বচ্ছ ও শান্তিপূর্ণ একটি নির্বাচন আয়োজন করা। প্রতিটি ধাপে নির্বাচনকে বিতর্কমুক্ত রাখতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।’
Comments