Image description

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার বুড়িশ্বর ইউনিয়নের লক্ষীপুর মৌজায় খাস পুকুর ইজারা নিয়ে প্রতিপক্ষের ওপর হামলা ও ছিনতাইয়ের অভিযোগে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন এলাকাবাসী।

রোববার দুপুরে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কার্যালয়ের সামনে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বিভিন্ন ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে শতাধিক মানুষ অংশ নেন।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, লক্ষীপুর মৌজার ৯৫০ ও ৯৬৩ দাগের দুটি খাস পুকুর বহু বছর ধরে লক্ষীপুর দারুল কোরআন মাদ্রাসা, মসজিদ ও কবরস্থানের নামে ইজারা নিয়ে এলাকার উন্নয়নমূলক কাজে ব্যবহার হয়ে আসছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি সংগ্রামের ঘনিষ্ঠজন ও বর্তমান ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা এনসিপি নেতা আসাদ খোকন ওই দুটি খাস পুকুর অবৈধভাবে দখলের চেষ্টা করছেন।

বক্তারা আরও জানান, উপজেলা ভূমি অফিস বিষয়টি জানার পর স্থানীয়দের অংশগ্রহণে উন্মুক্ত ইজারার সিদ্ধান্ত নেয়। খবর পেয়ে আসাদ খোকন স্থানীয়দের ইজারায় অংশ নিতে বাধা দেন। পরে সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর সহযোগিতায় লক্ষীপুর গ্রামের চারজন ব্যক্তি অফিসে ইজারার জন্য গেলে অফিসের সামনেই তাদের ওপর হামলা চালানো হয়।

পুলিশের সহায়তায় পরিস্থিতি সাময়িকভাবে শান্ত হলেও অফিস থেকে প্রায় ১০০ মিটার দূরে আবারও হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় পথচারীরাও আক্রান্ত হন। ঘটনাস্থলে অন্তত পাঁচজন আহত হন।

আহতরা হলেন, মনির মিয়া, নাইম মিয়া, উজ্জল মিয়া ও মাসুক মিয়া লক্ষীপুর গ্রামের এবং পথচারী রুকন মিয়া ও বলু মিয়া নাসিরনগর সদর ইউনিয়নের।

ভুক্তভোগী মনির মিয়া অভিযোগ করে বলেন, গত বুধবার রাতে এনসিপি নেতা আসাদ খোকন আমাকে মোবাইলে ফোন দিয়ে হুমকি দেন।

আরেক ভুক্তভোগী মাসুক মিয়া জানান, ভূমি অফিসে ইজারার নথি জমা দিতে গেলে আসাদ খোকন ও তাঁর অনুসারীরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এ সময় আমাদের কাছ থেকে প্রায় আড়াই লাখ টাকা ও দুটি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়।

মানববন্ধনকারীরা প্রশাসনের নিকট দাঙ্গাবাজ, ভূমিদস্যু আসাদ খোকন ও তার লাঠিয়াল বাহিনীর দ্রুত গ্রেফতার ও কঠিন শাস্তি দাবী করেছেন।

এ ব্যাপারে এনসিপি নেতা আসাদ খোকনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি দৈনিক মানবকন্ঠকে জানান," মারামারির ঘটনার সময় আমি, নায়েব সাহেব ও এসি ল্যান্ড আমরা নাসিরনগর এসিল্যান্ড অফিসে ছিলাম। ঘটনার পর আমরা বাহিরে বের হয়ে মারামারির  পরবর্তী পরিস্থিতি দেখতে পাই। এই ঘটনার সুত্রে, বিকেলে আমি বাড়ি থেকে আসার পথে আমার উপর আক্রমণ করা হয়। প্রাণভয়ে আমি আনন্দপুরের একটি বাড়িতে দৌড়ে গিয়ে আশ্রয় নিয়ে থানায় মোবাইল করলে ওসি সাহেব আমাকে উদ্ধার করেন। যার সত্যতা ওসি সাহেবকে কল করলে জানতে পারবেন।"