সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার ঘুড়কা এলাকায় চোর সন্দেহে মানসিক ভারসাম্যহীন এক যুবককে বেধড়ক মারপিট ও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। নিহত যুবকের নাম ইকবাল হাসান ওরফে ইউসুফ (১৯)। ঘটনার পর একজন আসামি গ্রেপ্তার হলেও বাকিরা পলাতক রয়েছেন।

নিহতের বাবা মো. আব্দুর রশিদ সলঙ্গা থানায় দায়ের করা এজাহারে জানান, গত ৩ অক্টোবর রাত ১০টার দিকে ঘুড়কা সমবায় পাম্প এলাকায় ইকবালকে চোর সন্দেহে বুদ্ধ মিয়া, আলাউদ্দিন, আব্দুস সোবাহানসহ কয়েকজন মিলে লোহার রড ও প্লাস দিয়ে পিটিয়ে এবং বিদ্যুৎস্পৃষ্ট করে গুরুতর আহত করেন।

আহত অবস্থায় ইকবালকে প্রথমে রায়গঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে সিরাজগঞ্জ এবং পরে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১৪ অক্টোবর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে তিনি মারা যান।

ইকবালের বাবা মো. আব্দুর রশিদ বলেন, “আমার ছেলের মানসিক সমস্যা ছিল। সে বাড়ি থেকে বের হয়ে পাম্পের সামনে রাখা একটি গাড়িতে শুয়ে ছিল। আসামিরা তাকে চোর সন্দেহে মারধর করে অজ্ঞান করে ফেলে।” তিনি আরও অভিযোগ করেন, “ঘটনা ধামাচাপা দিতে আসামিরা আমাকে টাকার প্রলোভন দেখিয়েছে।” তিনি জড়িতদের কঠোর শাস্তির দাবি জানান।

ঘটনার পর অভিযুক্তদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তারা পলাতক থাকায় কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

সলঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির জানান, “ঘটনার পরপরই একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। একজন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, এবং বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।”

এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। নিহতের পরিবার ও স্থানীয়রা দোষীদের দ্রুত বিচারের দাবি জানিয়েছেন।