Image description

বাগেরহাট সরকারি পিসি কলেজ ছাত্রদলের নবগঠিত কমিটির সভাপতি বেল্লাল শেখের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। রোববার (১৯ অক্টোবর, ২০২৫) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কলেজ ক্যাম্পাসের পালকিঘর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। হামলায় বেল্লাল শেখসহ অন্তত তিনজন আহত হয়েছেন।

বেল্লাল শেখ সরকারি পিসি কলেজে ডিগ্রি শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি মোরেলগঞ্জ উপজেলার পঞ্চকরণ এলাকার বাসিন্দা হলেও পড়াশুনার সুবিধার্থে বাগেরহাট জেলা সদরের দশানী এলাকায় থাকেন। শনিবার (১৮ অক্টোবর, ২০২৫) কেন্দ্রীয় ছাত্রদল বাগেরহাট সরকারি পিসি কলেজ শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন করে, যেখানে বেল্লাল শেখকে সভাপতি এবং রেদওয়ান কাদেরকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। এছাড়া বাগেরহাট জেলার ৩০টি কলেজ ও মাদ্রাসা শাখার কমিটিও একই দিনে অনুমোদিত হয়।

নবগঠিত কমিটি ঘোষণার পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এবং দলীয় পর্যায়ে বিভিন্ন অভিযোগ ও আলোচনা শুরু হয়। স্থানীয় সূত্র জানায়, কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধের জেরে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে। পালকিঘর এলাকার পুকুরপাড়ে বেল্লাল শেখ ও তাঁর অনুসারীদের উপর প্রতিদ্বন্দ্বী গ্রুপ কিল, ঘুষি ও লাঠি দিয়ে হামলা চালায়। এতে বেল্লাল শেখ, সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আয়শা আক্তারসহ তিনজন আহত হন।

বেল্লাল শেখ জানান, “আমরা নবগঠিত কমিটির সদস্যরা শিক্ষকদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গিয়েছিলাম। হঠাৎ অতর্কিতভাবে আমাদের উপর হামলা করা হয়।” তবে হামলাকারীদের পরিচয় বা হামলার কারণ সম্পর্কে তিনি স্পষ্ট করে কিছু বলতে চাননি। তিনি বলেন, “হামলাকারীদের মধ্যে কয়েকজন আমাদের কমিটির সদস্য ছিলেন। আমি মানসিক প্রেশারে আছি, এ বিষয়ে পরে কথা বলবো।”

প্রত্যক্ষদর্শী ছয়জন শিক্ষার্থীর বরাতে জানা গেছে, হামলাকারীদের মধ্যে নবগঠিত কমিটির সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শাহারিয়ার সামিরসহ আরও কয়েকজন ছিলেন। ঘটনার সময় কয়েকজন শিক্ষার্থী মুঠোফোনে ভিডিও ধারণ করছিলেন। এ কারণে একজন ছাত্রীর মুঠোফোন পুকুরে ফেলে দেওয়া হয় এবং তাকে বকাঝকা করা হয়।

শাহারিয়ার সামির অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “আমি দুই দিন ধরে অসুস্থ। কে বা কারা হামলা করেছে, তা আমি জানি না।”

নবগঠিত কমিটির সাধারণ সম্পাদক রেদওয়ান কাদের বলেন, “ঘটনার পর আমি কলেজে গিয়ে দোকানদার ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা হামলার কথা নিশ্চিত করলেও কারা জড়িত, তা কেউ স্পষ্টভাবে বলতে পারেনি। আমরা সাংগঠনিকভাবে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করছি।”

বাগেরহাট সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহামুদ-উল-হাসান বলেন, “এ ধরনের কোনো ঘটনা আমার জানা নেই। কেউ অভিযোগ করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”