Image description

লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে স্ত্রীর স্বীকৃতি পেতে ১৭ দিন ধরে এক তরুণী তার প্রেমিকের বাড়িতে অনশন করেন। অবশেষে কাবিনের টাকা দিয়ে সেই তরুণীকে বিদায় করে দেওয়া হয়। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার চরফলকন ইউনিয়নের জাজিরা নামক এলাকার মুসা ব্যাপারীর বাড়িতে।

স্থানীয়রা জানান, ২০২২ সালে কমলনগর উপজেলার চরফলকন ইউনিয়নের জাজিরা নামক এলাকার মুসা ব্যাপারীর বাড়ির মো. হাকিমের ছেলে আবুল কালামের (কালু) সঙ্গে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার নাজিরহাট এলাকার এক তরুণীর বিয়ে হয়। তারা একে অপরকে ভালোবেসে গোপনে বিয়ে করেছিলেন। বিয়ের এক বছর আগে কালুর সঙ্গে তরুণীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

বিয়ের পরে চট্টগ্রাম শহরে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন তারা। কিছুদিন আগে তাকে চট্টগ্রাম শহরের ভাড়া বাসায় রেখে কালু গোপনে তার গ্রামের বাড়ি লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে চলে আসেন এবং তার ব্যবহৃত ফোনটিও বন্ধ করে রাখেন।

কয়েক দিন পর তিনি ফেসবুকের মাধ্যমে দেখতে পান, কালু নতুন করে আবার বিয়ে করেছেন এবং বিয়ের ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেন। পরে বিভিন্ন মাধ্যমে এলাকার ঠিকানা সংগ্রহ করে তিনি লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে কালুর বাড়িতে আসেন। কোনো উপায় না পেয়ে গত ২ অক্টোবর থেকে টানা ১৭ দিন কালুর বাড়িতে স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে অনশন শুরু করেন ওই তরুণী।

এদিকে ঘটনাটি জানাজানি হলে এলাকাবাসী সমাধানের উদ্যোগ নেন। রোববার সকালে এলাকার লোকজনসহ উভয়পক্ষকে নিয়ে আলোচনায় বসে দেনমোহর বাবত ১ লাখ ৭০ হাজার টাকায় রফা করে তরুণীকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়।

চরফলকন ইউনিয়নের ১ নাম্বার ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য বাবুল মেম্বার বলেন, বিষয়টি সমাধানের জন্য তিনি কালুর পরিবার থেকে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা আদায় করে তরুণীকে বুঝিয়ে দিয়েছেন এবং তাদের মধ্যে ডিভোর্স সম্পন্ন হয়েছে।

তরুণী জানান, তার কাবিনের ৩ লাখ টাকার মধ্যে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা বুঝে পেয়েছেন তিনি। তাদের ডিভোর্স হয়ে গেছে। এখন তিনি চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির নিজ বাড়িতে চলে যাচ্ছেন।

কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, উভয়পক্ষ বসে ঘটনাটি সমাধান করেছেন বলে তাকে জানানো হয়েছে।