Image description

বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার জাহিদুল ইসলামের সঙ্গে সংঘটিত অপ্রীতিকর ঘটনার পর দলের পক্ষ থেকে তদন্ত ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।  

রোববার (১৯ অক্টোবর) বিকেলে এ ঘটনায় দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর একটি বিবৃতি দেন, যেখানে তিনি ঘটনার তদন্ত ও দায়ীদের শাস্তি নিশ্চিত করার কথা জানান।

বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে দলীয় কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের সময় আমার দেশ পত্রিকার সাংবাদিক জাহিদুল ইসলাম মারধরের শিকার হয়েছেন। এ সময় দ্য ডেইলি স্টার–এর সাংবাদিক সাজ্জাদ, নয়া দিগন্ত–এর অসীম আল ইমরান এবং জাগো নিউজ–এর খালিদ হোসেনও হেনস্তার শিকার হন।

ঘটনার পর রাতে এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য গভীর দুঃখ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘গণমাধ্যম রাজনৈতিক দলের বক্তব্য ও কার্যক্রম জনগণের কাছে তুলে ধরে। আজকের ঘটনাটি আকস্মিক এবং ভুল বোঝাবুঝি থেকে হয়েছে। আমি আহত সাংবাদিকসহ উপস্থিত সবাইয়ের কাছে আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি।’

বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, বিএনপি সাংবাদিকদের সঙ্গে পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সহযোগিতার সম্পর্ক বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা এড়াতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল বলেন, ‘ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হয়েছি, দায়ীদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খানও বলেন, ‘ঘটনাটি দুঃখজনক। আমি বিষয়টি শীর্ষ পর্যায়ে জানিয়েছি।’

আহত সাংবাদিক জাহিদুল ইসলাম জানান, তিনি সকাল থেকে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে ছিলেন। বিকেলে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সঙ্গে কথা বলতে গেলে হঠাৎ হট্টগোল শুরু হয়। এ সময় ৩–৪ জন এসে তাকে টেনে নিয়ে যায়, মোবাইল ফোন ভেঙে ফেলে ও প্রেস কার্ড কেড়ে নেয়। 

তিনি বলেন, ‘আমি বলেছিলাম ভিডিও মুছে ফেলব, কিন্তু তারা কোনো কথা না শুনেই আমাকে মারধর করে বাইরে বের করে দেয়।’