Image description

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজ মার্কেটের বরাদ্দকৃত বৈধ ঔষধের দোকান অবৈধ বলে উচ্ছেদ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সোমবার সকাল থেকে ঔষধের দোকান অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে ধর্মঘট পালন করছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ড্রাগিস্ট ও কেমিস্ট সমিতি।

সোমবার সকাল থেকে এই কর্মসূচি পালন শুরু করেছে ব্যবসায়ীরা। এতে শহরের সহস্রাধিক ঔষধের দোকান বন্ধ রয়েছে। ফলে দুর্ভোগে পড়ছে রোগী ও সাধারণ মানুষ।

চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও স্বজন আব্দুল করিম জানান, ডাক্তার দেখানোর পর চিকিৎসা শেষে ফার্মেসিতে ঔষধ কিনতে এসে দেখেন শহরের অলিগলির সব দোকান বন্ধ। কোনো ধরনের ঔষধই তারা কিনতে পারছেন না। এতে দুশ্চিন্তায় পড়ে গেছেন সবাই। "এই অবস্থায় আমরা আমাদের রোগীকে বাঁচাবো কী ভাবে?" 

সালাউদ্দিন মিয়া বলেন, "আমার আব্বার হাসপাতালে ভর্তি। ডাক্তার ঔষধ লিখেছেন, কিন্তু শহরের কোথাও ঔষধের দোকান খোলা পাইনি। এখন কী করবো? আমার বাবার চেয়ে আরও  মুমূর্ষু রোগী আছে। আমি অনুরোধ করবো ঔষধের দোকানগুলো খোলার ব্যবস্থা করা হোক।"

ব্রাহ্মণবাড়িয়া কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিস্ট সমিতি পৌর শাখার সভাপতি নূরে আলম সিদ্দিকী জানান, ১৯৮৩ সাল থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মহিলা কলেজ মার্কেটে ১৪টি দোকান বৈধভাবে ভাড়া নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। ব্যবসায়ীরা নিয়মিত ভাড়া প্রদান করে আসছে। অথচ সম্প্রতি বরাদ্দকৃত দোকানগুলোকে অবৈধ আখ্যা দিয়ে জোরপূর্বক উচ্ছেদের চেষ্টা করা হচ্ছে, যা অমানবিক ও অবৈধ। ব্যবসায়ীরা দোকান স্থানান্তরের জন্য পূর্বের চুক্তিনামা অনুযায়ী ছয় মাস সময় দাবি করলেও কলেজ কর্তৃপক্ষ মেনে নিচ্ছে না। এ অবস্থায় অবিলম্বে উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ ও ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের ন্যায়সঙ্গত সমাধান চান তারা। সুষ্ঠু সমাধান না হওয়া পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলবে।

এদিকে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজের সামনের অবৈধ দোকান উচ্ছেদ করে নতুন গেট নির্মাণের দাবিতে কয়েকদিন যাবত বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছে শিক্ষার্থীরা।