ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি সাদিক কায়েম হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যে, নতুন বাংলাদেশে 'মুক্তিযুদ্ধের ইন্ডাস্ট্রি' বা ব্যবসা চলবে না। তিনি বলেছেন, ফ্যাসিবাদী আমলে একটি দল সবসময় মুক্তিযুদ্ধ ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে ফ্রেমিং করতো এবং ব্যবসা করতো। শাহবাগ প্রতিষ্ঠা করার মাধ্যমে তারা বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছিল। কিন্তু নতুন বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের ইন্ডাস্ট্রির কোনো ব্যবসা চলবে না, এবং জুলাই চেতনা নিয়ে যারা ব্যবসা করতে চাইবে, সেই ব্যবসাও চলবে না।
শুক্রবার সকালে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ইসলামী ছাত্রশিবির আয়োজিত কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচিত প্রতিনিধি সংবর্ধনা-২৫ অনুষ্ঠানে সাদিক কায়েম এসব কথা বলেন।
সাদিক কায়েম আরও বলেন, "জুলাই আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করে যারা নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে চাইবে—শুধু সেই রাজনীতিই চলবে। আমি সবাইকে অনুরোধ করব—জুলাইয়ের আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করুন।"
ডাকসু ভিপি বলেন, "শহীদদের আত্মত্যাগ ও গাজীদের সেক্রিফাইসের মাধ্যমে আজকে আমরা নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। শহীদরা যে জন্য জীবন দিয়েছে আমরা সেই বৈষম্যহীন ইনসাফভিত্তিক বাংলাদেশ বিনির্মাণ করা। সেটিই এখন আমাদের মূল দায়িত্ব।"
তিনি নতুন বাংলাদেশের রাজনীতির ধরন সম্পর্কে বলেন, "নতুন বাংলাদেশের রাজনীতি হবে ওয়েলফেয়ার অ্যান্ড পলিটিক্স এন্টিক পলিটিক্স। নতুন বাংলাদেশে মাসল পলিটিক্স চলবে না। চাঁদাবাজির রাজনীতি চলবে না। টেন্ডারবাজির রাজনীতি চলবে না। নতুন বাংলাদেশে ফাও খাওয়ার রাজনীতি চলবে না।"
সাদিক কায়েম অভিযোগ করেন যে, যারা ফ্যাসিবাদের রাজনীতি ফিরিয়ে আনতে চায়, তারা দিল্লির বয়ান দেয় এবং মুজিববাদী বয়ানে আবার ফ্যাসিবাদ ফিরিয়ে আনতে চায়। তিনি সতর্ক করে বলেন, "বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদের যে করুণ পরিণতি হয়েছিল, তার চাইতে খারাপ পরিণতি তাদের হবে।"
বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক দল ও ছাত্র সংগঠনকে জুলাইয়ের আকাঙ্ক্ষা ধারণ করতে হবে উল্লেখ করে প্রবীণ রাজনীতিবিদদের উদ্দেশে তিনি বলেন, "আমাদের কাছে মনে হচ্ছে আপনারা জুলাইয়ের আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করছেন না। আপনাদের মধ্যে আমরা দাম্ভিকতা দেখতে পাচ্ছি।"
অন্তর্বর্তী সরকার জুলাইয়ের স্পিরিট থেকে সরে গেছে উল্লেখ করে সাদিক কায়েম আরও বলেন, "এই সরকার শহীদের রক্তের ওপর বসেছে। তাদের প্রথম কাজ ছিল জুলাই শহীদদের আকাঙ্ক্ষা ধারণ করা। খুনি হাসিনা ও তার দোসরদের বিচারের আওতায় আনা। কিন্তু দেড় বছরেও হাসিনা ও তার দোসরদের বিরুদ্ধে একটি রায় পর্যন্ত সরকার দিতে পারেনি।"




Comments