মানিকগঞ্জ
সাংবাদিকের পেশাগত কাজে বাঁধা ও ক্যামেরা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা আইনজীবীর
মানিকগঞ্জে পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় সাংবাদিকদেকে কাজে বাঁধা ও ক্যামেরা ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। আদালত চত্বরে খোদ এই ঘটনা ঘটিয়েছে এক আইনজীবী।
শুক্রবার (৬ অক্টোবর) দুপুর দেড়টার দিকে মানিকগঞ্জ আইনজীবী সমিতির ১ নম্বর ভবনের সামনে দায়িত্ব পালনের সময় এই ঘটনা ঘটান জেলা জজ কোর্টের আইনজীবী মো. জাহাঙ্গীর আলম সিদ্দিকী।
এ সময় তিনি মাইটিভির জেলা প্রতিনিধি আজিজুল হাকিমকে কাজে বাঁধা দেন এবং তার ক্যামেরা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। এই প্রতিবাদকের সাথে এসময় ঢাকা পোষ্টের জেলা প্রতিনিধি সোহেল হোসাইন এবং মোহনা টিভির প্রতিনিধি সাধন সূত্রধর উপস্থিত ছিলেন।
মাইটিভির সাংবাদিক আজিজুল হাকিম জানান, একটি সংবাদের জন্য কয়েকজন ভুক্তভোগীর বক্তব্য আনতে আজ দুপুরে মানিকগঞ্জ আইনজীবী ১ নম্বর ভবনের সামনে যান তিন গণমাধ্যম কর্মী। এরপর আইনজীবী সমিটির ১ নম্বর ভবনের ভিতর থেকে একজন নারী কান্না করতে করতে বের হয় এবং ওই নারীর সাথে বেশ কয়েজন পুরুষও ছিল। এরপর আইনজীবী সমিটির ১ নম্বর ভবনের সামনে গিয়ে আইনজীবী মো. জাহাঙ্গীর আলম সিদ্দিকীর কাছে জানতে চাইলে আইনজীবী মো. জাহাঙ্গীর আলম সিদ্দিকী ক্ষিপ্ত হয়ে ধমকের সুরে আদালত চত্বর থেকে চলে যেতে বলেন। একই সাথে ওই নারী ও পুরুষদের ভিডিও করায় ক্যামেরা ছিনিয়ে নিতে চেষ্টা করেন এবং গালাগাল করেন। তখন আমার সহকর্মীরা তাকে বাঁধা দিলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে তিন সাংবাদিককের সাথে ধস্তাধস্তি করেন এবং আইনজীবী সমিতির ভবনের ভিতরে নিয়ে যেতে যান।
তখন সকলের উপস্থিতিতে আবার মাইটিভির সাংবাদিকের উপর চড়াও হয় এবং ক্যামেরা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। এরপর আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে তার সাথে থাকা অন্য আইনজীবীরা তাকে সেখান থেকে চলে যেতে বলেন এবং আইনজীবী জাহাঙ্গীর আলম সিদ্দিকীর এক সহকর্মী তাকে আদালত চত্বর থেকে নিয়ে যান।
সাংবাদিক আজিজুল হাকিম আরো জানান, আইনজীবী মো.জাহাঙ্গীর আলম সিদ্দিকীকে প্রথমেই সাংবাদিক পরিচয় দেওয়া হয়। পরিচয় দেওয়ার সময় আমার হাতে মাইটিভির মাইক্রোফোন ও স্ট্যান্ডসহ ক্যামেরা ছিল। তারপরও আইনজীবী মো. জাহাঙ্গীর আলম সিদ্দিকী পেশাগত কাজে বাঁধা দেন এবং ক্যামেরা ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য চেষ্টা করে ও ধাক্কা দেয়।
এ বিষয়ে আইনজীবী মো. জাহাঙ্গীর আলম সিদ্দিকী বলেন, শুক্রবার দুপুরে আমার চেম্বার (আইনজীবী সমিতির ১ নম্বর ভবনের ১০১ নম্বর কক্ষ) একটা যৌতুক মামলার সালিশ শেষে বের হয়ে আসার সময় আইনজীবী সমিতি ১ নম্বর ভবনের গেটে আসলে বিষয়টি জানতে সাংবাদিকরা আমাকে প্রশ্ন করেন। অনুমতি না নিয়ে ভিডিও ধারণ করতে থাকেন। এ নিয়ে প্রশ্ন করলে সাংবাদিকদের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। কিন্তু অপ্রীতিকর কোন ঘটনা ঘটেনি।
এ বিষয়ে মানিকগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর আলম বিশ্বাস বলেন, সাংবাদিকের পেশাগত দায়িত্ব কাজে বাঁধা প্রদান করা অন্যায়। আমরা ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।'




Comments