নৌ পরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন মন্তব্য করেছেন যে, চট্টগ্রাম বন্দর ইস্যুতে ব্যবসায়ীরা বিগত ১৭ বছর যে প্রতিবাদ করতে পারেননি, তা এখন একসাথে শুরু করেছেন। তিনি আরও জানান, ট্যারিফের বিষয়ে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ চলবে। সোমবার দুপুরে চট্টগ্রাম বন্দরের তিনটি স্থাপনা উদ্বোধনের সময় তিনি এ কথা বলেন।
চট্টগ্রাম বন্দরের বর্তমান কন্টেইনার ধারণ ক্ষমতা প্রায় ৫৬ হাজার একর। নতুন লালদিয়াচরে নির্মিত ইয়ার্ডে আরও ১০ হাজার কন্টেইনার রাখা যাবে, যা প্রায় ১৪ একর জায়গা জুড়ে বিস্তৃত। এই ইয়ার্ডের পাশে একটি ভারি পণ্য উঠানামার বিশেষ জেটিও তৈরি করা হচ্ছে। এছাড়াও, ইয়ার্ডের আরেকপাশে নেদারল্যান্ডসের বিনিয়োগে এপিএম টার্মিনাল ঘিরে এক হাজার ট্রাক পার্কিংয়ের সুবিধা সম্পন্ন টার্মিনাল তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এস এম মনিরুজ্জামান জানান, সোমবার এই টার্মিনাল উদ্বোধনের পাশাপাশি নৌ উপদেষ্টা বে-টার্মিনাল এলাকায় পরিবহন টার্মিনাল এবং তালতলা কন্টেইনার ইয়ার্ডও উদ্বোধন করেছেন। এর ফলে চট্টগ্রাম ইপিজেডের পণ্যবাহী ভারি যানবাহন এখন নগরীর ব্যস্ত রাস্তার যানজট এড়াতে পারবে।
বন্দরের এনসিটি বিদেশী অপারেটরের কাছে দেওয়ার বিষয়ে বিভিন্ন পক্ষের সাম্প্রতিক প্রতিবাদ প্রসঙ্গে নৌ উপদেষ্টা বলেন, "চট্টগ্রাম বন্দর ইস্যুতে ব্যবসায়ীরা ১৭ বছর যে হইচই করতে পারেনি, তা একসাথে শুরু করেছেন। সরকার নিজেদের পরিকল্পনা মতো কাজ করবে।"
এছাড়াও, সাম্প্রতিক ট্যারিফ বৃদ্ধি নিয়ে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান উপদেষ্টা। তিনি উল্লেখ করেন যে, বর্ধিত ট্যারিফ বলবৎ রাখতে বন্দর আদালতের কাছে প্রয়োজনীয় তথ্য উপস্থাপন করবে।
তিনটি নতুন স্থাপনা উদ্বোধনের পাশাপাশি উপদেষ্টা বন্দরের এক্স-ওয়াই শেড ও অকশন শেড পরিদর্শন করেন। বিকেলে ব্যবসায়ীদের সাথে বৈঠকের কথা থাকলেও সেটি শেষ মুহূর্তে বাতিল করা হয়।




Comments