চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলায় দুটি ভিন্ন স্থান থেকে এক নারীসহ দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে যে, নারীটিকে হত্যা করা হয়েছে। সোমবার সকালে আধঘণ্টার ব্যবধানে উপজেলার মাদার্শা ইউনিয়নের মদুনাঘাট এবং পৌরসভার আলমপুর থেকে মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়।
চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের হাটহাজারী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজী মোহাম্মদ তারেক আজিজ গণমাধ্যমকে জানান, মদুনাঘাট এলাকা থেকে উদ্ধার হওয়া নারীর বয়স আনুমানিক ৩০ বছর এবং আলমপুর থেকে উদ্ধার হওয়া ব্যক্তির বয়স আনুমানিক ৫৫ বছর। তবে তাদের কারও পরিচয় এখনো জানা যায়নি। পরিচয় শনাক্তের জন্য ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পুলিশ উভয় মরদেহের আঙুলের ছাপ সংগ্রহ করেছে।
পুলিশ জানায়, সকাল ১০টার দিকে হাটহাজারী উপজেলার মদুনাঘাট এলাকায় বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রের পাশে হালদা নদীর সংযোগস্থলে স্লুইস গেটের নিচে পানিতে ভাসমান অবস্থায় নারীর মরদেহটি দেখতে পান স্থানীয়রা। খবর পেয়ে মদুনাঘাট তদন্ত কেন্দ্র থেকে পুলিশ গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে। মরদেহটি পচে ফুলে গেছে এবং পুলিশের ধারণা, কমপক্ষে ৩-৪ দিন আগে ওই নারীর মৃত্যু হয়েছে।
পুলিশ সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
এরপর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে হাটহাজারী পৌরসভার আলমপুর এলাকায় একটি মাছের খামারের পুকুর পাড় থেকে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। জাতীয় সেবা নম্বর ট্রিপল ৯ থেকে তথ্য পেয়ে পুলিশ গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে। মরদেহের শরীরে তেমন কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই বলে পুলিশ জানিয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজী মো. তারেক আজিজ গণমাধ্যমকে বলেন, "অজ্ঞাতনামা পুরুষের মৃত্যু দুর্ঘটনাজনিত অথবা স্বাভাবিকভাবেও হতে পারে। যদিও খামারের লোকজন তাকে কেউ চিনতে পারছেন না। সেটা আমরা তদন্ত করে দেখছি। তবে মদুনাঘাটে যে নারীর মরদেহ পাওয়া গেছে, তাকে খুন করা হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। সম্ভবত শ্বাসরোধ করে তাকে হত্যা করা হয়েছে।"




Comments