Image description

হবিগঞ্জ জেলার লাখাই উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ের অফিস সহকারী শাহাদ আলী'র বিরুদ্ধে উপজেলার ৫৯ জন গ্রাম পুলিশের বেতন থেকে ১ হাজার টাকা করে মোট ৫৯ হাজার টাকা অনৈতিকভাবে আদায়ের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অনুপম দাস অনুপ-এর নজরে আসার পর তাৎক্ষণিকভাবে অভিযুক্ত অফিস সহকারী টাকা ফেরত দিতে বাধ্য হয়েছেন।

জানা যায়, গত ১২ই নভেম্বর, বুধবার, অফিস সহকারী শাহাদ আলী ৫৯ জন গ্রাম পুলিশকে বেতন দেওয়ার সময় প্রত্যেক গ্রাম পুলিশের বেতন থেকে ১০০০ টাকা করে কেটে রাখেন। গ্রাম পুলিশদের অভিযোগ, শাহাদ আলী সব সময় বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে তাদের কাছ থেকে টাকা আদায় করেন এবং দরিদ্র গ্রাম পুলিশদের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে মুখ বন্ধ রাখতে ভয় দেখান।

এ বিষয়ে ১২ই নভেম্বর অভিযুক্ত শাহাদ আলী-কে প্রশ্ন করা হলে তিনি টাকা নেওয়ার বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে বলেন, "গ্রাম পুলিশগণ আমাকে টাকা দেয় কেন? তারা আমাকে ইচ্ছা করে টাকা দিয়েছে।" তবে ১৩ই নভেম্বর যোগাযোগ করা হলে তিনি টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করেন এবং বলেন, "আমি যে টাকা নিয়েছি সেটা আজ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফেরত দিয়েছেন।"

বিষয়টি জানার পর লাখাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অনুপম দাস অনুপ গভীর দুঃখ প্রকাশ করেন এবং বলেন, "আমি শাহাদ আলীর বিষয়টা শুনে খুবই দুঃখিত, আমি এর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব।"

তাঁর অঙ্গীকার অনুযায়ী, পরদিনই, অর্থাৎ ১৩ই নভেম্বর, বৃহস্পতিবার, সকাল ১০:০০ ঘটিকার সময়, ইউএনও অনুপম দাস অনুপ প্রত্যেক ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম পুলিশের দফাদারদের ডেকে আনেন এবং আদায় করা টাকাগুলো ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা করেন।

টাকা ফেরত দেওয়ার পর ইউএনও অনুপম দাস অনুপ বলেন, "বিষয়টা দুঃখজনক। আমি ওদেরকে ডেকে ওদের টাকা ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি।

গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, টাকা ফেরত দিতে গিয়ে ইউএনও একটি নতুন সিন্ডিকেটের সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, এই টাকা সিন্ডিকেটের সাথে অনেক দফাদার জড়িত আছে বলে আমার মনে হয়। যে বিষয়টা আমার আগে জানা ছিল না। আপনার মাধ্যমে জানতে পারলাম।" এই অভিযোগের ভিত্তিতে আরও তদন্তের ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।

ইউএনও'র মানবিক ও সৎ উদ্যোগে দ্রুত টাকা ফেরত পাওয়ায় দরিদ্র গ্রাম পুলিশেরা অত্যন্ত খুশি ও সন্তুষ্ট হয়েছেন। তারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।